Howrah: নাইটি কেনার কথাটাও জানতে পেরেছিলেন! বিয়ের ৬ মাস যেতে না যেতেই শেষ অলঙ্কিতা…
Howrah: সল্টলেকের আইটি সেক্টরে চাকরি করতেন তাঁরা। সেখানে চাকরি করতে করতেই দুজনের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হওয়ার পর বিয়ে হয়। অ্যালবামে সেই বিয়ে ছবি এখনও উজ্জ্বল।

হাওড়া: বাপের বাড়ির সঙ্গে কথাটুকু বলারও স্বাধীনতা ছিল না অলঙ্কিতার। বাবার কাছে যেতেও নাকি নিষেধ করা হত। বিয়ের পর থেকে এসব চলছিল। অলঙ্কিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের বিয়েতে দেওয়া উপহার নিয়েও নাকি আপত্তি ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। তবে ভালবেসে যে বিয়ে করেছিলেন অলঙ্কিতা, সেই বিয়ের পরিণতি যে এমন হবে, তা ভাবতেও পারেনি তাঁর পরিবার।
বেলুড়ের বাসিন্দা অলঙ্কিতা সিনহার সঙ্গে মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয় গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শুভম ঘোষের। সল্টলেকের আইটি সেক্টরে চাকরি করতেন তাঁরা। সেখানে চাকরি করতে করতেই দুজনের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হওয়ার পর বিয়ে হয়। অ্যালবামে সেই বিয়ে ছবি এখনও উজ্জ্বল। আর বৃহস্পতিবার সেই অলঙ্কিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার শ্বশুরবাড়িতে।
বিয়ের ছ’মাসের মাথায় অলঙ্কিতা ওরফে মেঘার মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে। অলঙ্কিতার পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও অন্য এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শুভমের। এই নিয়ে দু’জনের ঝামেলা চলছিল বলেও অভিযোগ। তাঁদের দাবি, মেঘাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। মেঘার বাবা বলছেন, ‘শাশুড়ি অত্যাচার করত ওর উপর। আমার মেয়েকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দেওয়া হত না।’ মেঘার আর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, শুভমের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন অলঙ্কিতা। এমনকী সেই মহিলাকে শুভম নাইটি কিনে দিয়েছেন বলেও বাড়িতে জানিয়েছিলেন ওই যুবতী। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করছে মেঘার পরিবার।
