Protest in School: ‘রান্না না করে রাঁধুনিরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত’! মিড ডে মিলে বিস্কুট দিতেই অভিভাবকদের হাতে আটক প্রধান শিক্ষিকা
Mid Day Meal: অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখেও পড়লেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকা অনামিকা রায়। তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ আটকেও রাখা হয়। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় অংশও অভিভাবকদের এই দাবিকে ন্যায্য বলেই মনে করছেন। কিন্তু কী বলছেন প্রধান শিক্ষিকা?

দাসনগর: বারুইপুরেই রয়েছে উত্তরভাগ কলোনি হাইস্কুলে। নভেম্বরের শেষেই এই স্কুলে ঘটেছিল চুরির ঘটনা। স্কুলের গেটের তালা ভেঙে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গ্যাসের সিলিন্ডার, সাইকেল সবই চুরি যায়। অগত্যা পরের দিন স্কুলে বন্ধ থাকে মিড ডে মিলের রান্না। এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বিস্কুটের প্যাকেট। এবার মিডে মিলে বিস্কুটের প্যাকেট তুলে দেওয়া হল হাওড়ার দাসনগরের বালটিকুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে চাল-ডাল সবই রয়েছে। তারপরেও রান্না করা খাবার না দিয়ে পড়ুয়াদের ৫ টাকার বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।
দাসনগরের বালটিকুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪০০। রয়েছেন ১৪ শিক্ষক-শিক্ষিকা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার জন্য রাঁধুনি-সহ যাবতীয় বন্দোবস্ত থাকলেও রোজ এখানে মিড ডে মিল রান্না হয় না। রাঁধুনীরা রান্না করার বদলে মোবাইল দেখতে ব্যস্ত থাকে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই সপ্তাহে মাত্রা দু’দিন রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। বাকি দিনগুলিতে ৫ টাকার বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে।
অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখেও পড়লেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকা অনামিকা রায়। তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ আটকেও রাখা হয়। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় অংশও অভিভাবকদের এই দাবিকে ন্যায্য বলেই মনে করছেন। তাঁরা বলছেন, যে পরিমাণ চাল আছে তা পড়ুয়াদের মধ্যেই বিতরণ করে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষিকা ডিআইকে সরাসরি চিঠিও লেখেন। তিনি বলছেন, “আগে স্কুলে কাঁচা চাল ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হতো। এখন যদি শিক্ষা দফতর অনুমতি দেয় তবে মজুত চাল তাদের দেওয়া হবে।” অন্যদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলছেন, মিড ডে মিলে খাবারের বদলে এভাবে ড্রাই ফুড দেওয়া যায় না। কী কারণে এমনটা করা হয়েছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
