হাওড়া: চলে গেলেন বাংলা সঙ্গীত জগতের দিকপাল শিল্পী চন্ডীদাস মাল (Chandidas Mal )। আজ সকালে বালির (Bally) বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রধানত পুরাতনী বাংলা গান, শ্যামা সংগীত, টপ্পা, আগমনী গান ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। ১৯২৯ সালের ৭ই অক্টোবর হাওড়ার বালিতে জন্ম হয় চণ্ডীদাস মালের। বাবা নারায়ণ চন্দ্র মাল ও ঊষাঙ্গীনি মালের জেষ্ঠপুত্র ছিলেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সেই বাবার কাছ থেকে সংগীতের হাতেখড়ি হয় তাঁর। এরপর ৬ বছর বয়স থেকেই তাঁর গানের খ্যাতি ধীরে-ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অল বেঙ্গল মিউজিক অ্যাসোসিয়েশেনের পক্ষ থেকে তিনি প্রথম পুরস্কার জেতেন। সংগীত জগতের একাধিক নক্ষত্রের কাছ থেকে তিনি গানের শিক্ষা নেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কিশোরী মোহন সিনহা, রামচন্দ্র গুহ, কৃষ্ণচন্দ্র দে, জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, দুর্গা সেন ও কালীপদ পাঠক।
এরপর, ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে এবং পরবর্তীকালে দূরদর্শনেও সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক করেছিলেন। রবীন্দ্রভারতী এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতনী বাংলা গানের শিক্ষকতাও করেছেন। পেয়েছিলেন অ্যাকাডেমি পুরস্কার। শুধু তাই নয়, বঙ্গীয় সংগীত পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি বিভাকর অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। প্রায় ১০০ বেশি টাপ্পা গান রেকর্ড হয়েছিল তাঁর কন্ঠে।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন চণ্ডীদাসবাবু। এরপর আজ সকালে ৯১ বছর বয়সে বালির বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে বাংলা সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: নজিরবিহীন ঘটনা হাইকোর্টে, SSC-র আইনজীবীকে এজলাস ছাড়ার নির্দেশ, ডাকা হল শেরিফকে
আরও পড়ুন: TMC: কখনও ৩ হাজার কখনও বা ৫! তৃণমূল কার্যালয়ের নামে বিল দেখিয়ে দেদার চলছে তোলাবাজি