AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এবার থেকে বাড়িতে বসেই মিলবে ট্রেড লাইসেন্স, কী ভাবে জানিয়ে দিল হাওড়া পুরসভা

Howrah: এদিন পুর এলাকার বাজারে সাফাই নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।

এবার থেকে বাড়িতে বসেই মিলবে ট্রেড লাইসেন্স, কী ভাবে জানিয়ে দিল হাওড়া পুরসভা
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2021 | 8:17 PM
Share

হাওড়া: হাওড়া ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবরটি আগেই শুনিয়েছিল পুরসভা। সোমবার তাতেই সিলমোহর পড়ল। এবার থেকে অনলাইনে আবেদন করলেই ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যাবেন হাওড়া শহরবাসী। নতুন লাইসেন্সের জন্য এবার থেকে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না কাউকে। একই সঙ্গে এবার থেকে বাজারের গুমটি বা ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাফাই বাবদ ফি নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া পুরসভা।

সোমবার হাওড়া পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর জানানো হয়, সম্পত্তি কর জমা দিয়েছেন কিন্তু যাঁরা রসিদ পাননি, তাঁরাও এবার অনলাইন ও অফলাইনে দ্রুত রসিদ পেয়ে যাবেন। হোল্ডিং নম্বর ও অ্যাসেসি নম্বর দিলেই অনলাইনে মিলবে রসিদ। তবে একই সঙ্গে অফলাইনেও দেওয়া হবে তা। পুরসভার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই বিল দিয়ে আসবেন।

এদিন ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিয়ম মেনে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই তা পাওয়া যাবে। এদিন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অরূপ রায় জানান, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করার সময় দু’টি তথ্য লাগবে। সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন ও পরিচয়পত্র। এই দু’টি নথি জমা করলেই ট্রেড লাইসেন্স দেবে পুরসভা। একই পদ্ধতিতে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের রিনিউও করা হবে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলেই মনে করছে পুরসভা।

এদিন পুর এলাকার বাজারে সাফাই নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। পুর এলাকার অনেক বাজারেই সবজি বিক্রেতারা বসেন, যাঁদের নাম পুরসভার খাতায় নথিভুক্ত নেই। অথচ তাঁদের ফেলে যাওয়া পচা সবজি বাজার থেকে সাফ করতে হয় পুরসভার সাফাই কর্মীদেরই। এবার থেকে ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাফাই বাবদ ফি নেবে পুরসভা। প্রত্যেকদিন ১০ টাকা বা মাসে ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হবে। এই টাকার রসিদও পাবেন ব্যবসায়ীরা।

কার কাছে, কোথা থেকে, কত টাকা নেওয়া হল রসিদে সবটাই উল্লেখ থাকবে। আপাতত হরগঞ্জ বাজার, কদমতলা বাজার, কালীবাবুর বাজার, রামরাজাতলা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কনজারভেন্সি চার্জ হিসেবে এই ফি আদায় করা হবে। এই প্রসঙ্গে অরূপ রায় জানান, “কোনওরকম কর নয়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফি বাবদই এই অর্থ নেওয়া হবে।” আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভায় ফের দেবাঞ্জনকাণ্ডের ছায়া! নিয়োগপত্র নিয়ে হাজির প্রার্থীরাই ধরাল ‘প্রতারক’কে