Howrah: হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নয়া নয়া নির্দেশ, আরও বাড়ছে চাপ! বিক্ষোভে BLO-রা
Howrah: নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশান ফর্ম বিলি এবং সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বিএলও-দের হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয় শনিবারের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।

হাওড়া: বিএলও-দের বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের অ্যাপসে তুলতে হবে। নির্বাচন আধিকারিকদের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় বিএলও-দের বিক্ষোভ। আজ তাদের ডিজিটাইজেশনের জন্য যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা বয়কট করেন। বিএলও- দের অভিযোগ, দিনের পর দিন তাদের ওপর কাজের চাপ বাড়ছে।
নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশান ফর্ম বিলি এবং সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বিএলও-দের হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয় শনিবারের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, তাদের ডাটা এন্ট্রির জন্য প্রশিক্ষণে যোগ দিতে বলা হয়। টিকিয়াপাড়ায় রেগুলেটরি মার্কেটের অফিসে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু বিএলও দের দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে প্রশিক্ষণ বানচাল হয়ে যায়। তারা স্পষ্ট জানান, কোনও অবস্থাতেই তারা ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন না। কারণ যদি কোন ভুল হয়, তার দায় তাঁদের উপর বর্তাবে। তাঁরা জানান, অনেক ক্ষেত্রে ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের তথ্যে অনেক ভুল আছে। সেই ভুল সংশোধনের আগে তা যদি নির্বাচন কমিশনের অ্যাপে আপলোড হয়ে যায় তাতে ভবিষ্যতে বিপদের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
তাঁরা কমিশনকে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। কমিশন থেকে যে টাকা পারিশ্রমিক হিসাবে পাবেন তা তাঁরা ছাড়তে রাজি। সেই টাকা দিয়ে কমিশন যেন পেশাদার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর রাখেন। এমনটাই অনুরোধ জানিয়েছেন কমিশনকে। কেন হোয়াটসঅ্যাপে নতুন নতুন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না।
একই সঙ্গে বিএলও-রা জানিয়েছেন, স্কুল করার পর ফর্ম বিলির কাজে এতটাই সময় চলে যাচ্ছে তাতে তাঁরা বিধ্বস্ত। ফর্মে মহিলা বিএলও-দের নাম এবং মোবাইল নম্বর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
