Arambagh Puja: বাংলার এই গ্রামে হয় চিত্রগুপ্তের পূজা, তারপর শুরু ভাইফোঁটা
Chitragupta Puja: বর্তমানে একমাত্র আামবাগের এই গ্রামেই পূজিত হন চিত্রগুপ্ত। চিত্রগুপ্তের পূজা দিয়ে এই গ্রামে ভাইফোঁটা শুরু হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকেও এই পুজো দেখতে ভিড় করে মানুষজন। রীতিমতো প্যান্ডেল করে, ঢাক বাজিয়ে চলে পুজো। আগে তিন থেকে চারদিন ঠাকুর থাকত মণ্ডপে। বর্তমানে দু'দিন মাত্র ঠাকুর থাকে।

আরামবাগ: চিত্রগুপ্তের খাতা শোনা যায়, তবে চিত্রগুপ্তের পুজো! ভাইফোঁটা শুরু হয় যমরাজের করণিক চিত্রগুপ্তের পূজার মধ্য দিয়ে। দেশের মধ্যে একমাত্র আরামবাগের বাতানলেই প্রচলিত রয়েছে এই রীতি। যমরাজের করণিক চিত্রগুপ্তের পূজো হয় সেখানে। কায়স্থরা মনে করেন, তাঁদের পূর্বপুরুষ হলেন এই চিত্রগুপ্ত। আর পূর্বপুরুষের পুজোর মধ্য দিয়েই প্রতি বছর আরামবাগের বাতানল গ্রামে শুরু হয় ভাইফোঁটা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেখানেই এই গ্রামের মহিলারা বিবাহ সূত্রে বসবাস করেন, তাঁরা প্রত্যেকে এই ভাইফোঁটার দিনে গ্রামের পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। রীতিনীতি মেনে পুজোর পরই ভাইফোঁটা দেন তাঁরা।
যুগ যুগ ধরে আরামবাগের বাতানলের কায়স্থরা এই চিত্রগুপ্তের পুজো করে আসছে। আগে খুব জাঁকজমক করে পুজোর আয়োজন করা হলেও এখন আর তেমনটা হয়না। আড়ম্বর কিছুটা কম। মাঝখানে একবার পুজো বন্ধ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে আবার শুরু হয়। ১১৬ বছর ধরে একটানা এই চিত্রগুপ্তের পুজো হয়ে আসছে ভাইফোঁটার দিন এই গ্রামে। তবে আগে কলকাতায় বঙ্গীয় কায়স্থ সেবা সমিতি একসময় এই পুজো করলেও, এখন আর তা হয় না।
বর্তমানে একমাত্র আামবাগের এই গ্রামেই পূজিত হন চিত্রগুপ্ত। চিত্রগুপ্তের পূজা দিয়ে এই গ্রামে ভাইফোঁটা শুরু হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকেও এই পুজো দেখতে ভিড় করে মানুষজন। রীতিমতো প্যান্ডেল করে, ঢাক বাজিয়ে চলে পুজো। আগে তিন থেকে চারদিন ঠাকুর থাকত মণ্ডপে। বর্তমানে দু’দিন মাত্র ঠাকুর থাকে। একটানা চণ্ডীপাঠ চলে সারাদিন। গ্রামের বাসিন্দারা মিলেই এই পুজো শুরু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
