হাওড়া : বিড়ি নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই দুই বন্ধুকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাল আর এক বন্ধু। জখম দুই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে একজনের। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) রামকৃষ্ণপুর ঘাটে। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই রাজু রাও নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে এই মারামারি? আগেও কি ওই তিন বন্ধুর মধ্যে কোনও ঝামেলা ছিল? তাহলে কি সেই অতীতের ঝামেলার কারণেই এই পরিণতি? এই সব বিষয়গুলিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে বার বার এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন সমাজের একাংশ। প্রশ্ন উঠছে, বার বার এমন ঘটনায় কী প্রভাব পড়ছে যুবক ও তরুণদের মনে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
কিছুদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেখানেও এক বন্ধুকে লক্ষ্য করে অন্য বন্ধু গুলি চালিয়েছিল। যদিও ওই ঘটনায় তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও ছিল। এবার প্রায় একইধরনের ছবি ধরা পড়ল হাওড়ায়। তবে এখানে গুলি নয়। বাঁশ ও ইট দিয়ে দুই বন্ধুর উপর চড়াও হয় অন্য এক বন্ধু। আর এই বচসার জেরে পিটিয়ে ‘খুন’ হয় এক যুবক। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মেরে তাকে প্লাইউড দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছিল। আর একজনকে মারার উদ্দেশে তাড়া করেছিল। সেও জখম হয়েছে। পুলিশ তাকে পেয়ে গিয়েছে। সেই ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তার সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে।
সেই সঙ্গে স্থানীয়দের একাংশের আরও অভিযোগ, “এই জায়গাটা পোর্ট ট্রাস্টের এলাকা। তারা রাজ্য সরকার ও পুরনিগমকে নিজেদের এলাকায় কাজ করতে দেয় না। সব কিছুতে বাধা দেয়। ওই এলাকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা তো পোর্ট ট্রাস্টকেই করতে হবে। ওখানে পোর্ট ট্রাস্ট পুলিশের ক্যাম্প আছে। কিন্তু ক্যাম্পের ভিতরেও তাঁরা বসে থাকেন। শুধু বেআইনি কার্যকলাপকে তাঁরা প্রশ্রয় দেন।”
আরও পড়ুন : Shantipur : প্রিজ়ন ভ্যান নয়, পুলিশের স্টিকার সাঁটা অটোয় চাপিয়েই অভিযুক্তদের আনা হল আদালতে