Suvendu Adhikari: ‘টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ দিয়ে গরিব মারছে…’, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল

Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "অনেক কিছুই হবে। আমরা দাবি করেছে ইডি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিক। আমাদের ডায়রেক্টর অফ ড্রাগ কন্ট্রোল রয়েছে। আমি নাড্ডাজিকে বলেছি। তাঁরা এখানে এসে গোটা বিষয়টি দেখবে।"

Suvendu Adhikari: 'টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ দিয়ে গরিব মারছে...', স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল
স্বাস্থ্যসচিবকে কাস্টডিতে নেওয়ার আবেদনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2025 | 2:46 PM

কলকাতা: বিষ স্যালাইনকাণ্ডে স্বাস্থ্য সচিবকে গ্রেফতারের দাবি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সরবরাহ করে গরিব মানুষকে মারছে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টরের সঙ্গী কালীঘাটের যোগের তত্ত্বও তুললেন তিনি। হাওড়ায় একটি রক্তদান শিবিরে গিয়ে একথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, , ২০২২ সালে টেন্ডার শেষ হয়ে যায় , ব্ল্যাকলিস্টেড কোম্পানিকে দিয়ে টেন্ডার করিয়েছে ।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অনেক কিছুই হবে। আমরা দাবি করেছে ইডি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিক। আমাদের ডায়রেক্টর অফ ড্রাগ কন্ট্রোল রয়েছে। আমি নাড্ডাজিকে বলেছি। তাঁরা এখানে এসে গোটা বিষয়টি দেখবে।” তিনি আরও বলেন, “নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টেডিতে নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের  ডিরেক্টর মুকুল ঘোষ, এই বহরমপুরের মুকুল ঘোষের সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে।” DCGI-কে দিয়েও তদন্তের অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।

নারায়ণস্বরূপ নিগমকে গ্রেফতারির দাবি রাজনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অভিযোগ তুলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে বড় মাথার যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য নিয়ে সিপিএম নেতা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত হওয়া উচিত, এই নিয়ে কোনও বিতর্কের জায়গা নেই। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব, অপরাধীদের খুঁজে বার করা।”

প্রসঙ্গত, চরম আতঙ্ক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্যালাইন বিভ্রাটে ইতিমধ্যেই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরও তিন। ২ জনকে ইতিমধ্যেই ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছে। প্রসূতিদের বাঁচাতে নাছোড় লড়াই চিকিৎসকদের। হাসপাতাল থেকে সরানো হয়েছে নিষিদ্ধ স্যালাইন। কিন্তু নিষেধ সত্ত্বেও কীভাবে মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা হাসপাতালে ঢুকল এই নিষিদ্ধ স্যালাইন? প্রশ্ন উঠছে সেটাই। মেদিনীপুর মেডিক‍্যাল কলেজে আরও ৭ ওষুধের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।