Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে ট্রেনে যাত্রীদের পাশেই গরু মোষের ঠাসা ভিড়!
Jalpaiguri: স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে একটি ট্রেনের মধ্যে এভাবে গবাদি পশু পাচার করা হচ্ছিল? যদিও স্টেশনে কর্তব্যরত রেল কর্মী আধিকারিকদের সাফাই বুকিং করেই সেগুলো পাঠানো হচ্ছিল।
জলপাইগুড়ি: যাত্রীবাহী স্পেশাল ট্রেনে করে পাচার হচ্ছে গরু-মোষ! সড়ক পথে বেড়েছে রাজ্য প্রশাসনের নজরদারি। তেমনি রয়েছে ডোনেশন, চাঁদার জুলুমবাজি। তাই রেল পথেই চলছে গরু মোষ পাচার। এবারে ট্রেনে করেই পাচার হচ্ছিল গরু ও মহিষ, এমনটাই অভিযোগ। শুক্রবার রাতে বানারহাট রেল স্টেশনে আচমকাই একটি দূরপাল্লার 05615 উদয়পুর গুয়াহাটি সমর স্পেশ্যাল ট্রেনকে দাঁড় করায় এক দল। যেমনটা তাঁদের কাছে খবর ছিল, ট্রেনে করে গরু ও মহিষ যাচ্ছে।
অসমের পথে ট্রেন। সেখানে যাত্রীদের সঙ্গেই গরু মোষ। ট্রেন দাঁড় করাতেই উঠে আসে আসল ছবি। ট্রেনের দরজা খুলতেই দেখা মেলে ভেতরে রয়েছে ১৯ টি গরু ও মোষ। প্রশ্ন উঠছে, যাত্রীবাহী ট্রেনে কী করে যাচ্ছে গরু ও মহিষ! প্রশ্ন উঠছে, একটি বগিতে ১০ টি মহিষ অথবা গরু যদি নিয়ে যাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ১৯ টি কেনো? তেমনি প্রশ্ন উঠছে, গার্ডমেন পর্যন্ত জানেন না কতগুলো গুরু মহিষ যাচ্ছে। তাহলে এগুলো কি পাচার করা হচ্ছিল? অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল এবং শ্রী রাম সেনার সদস্যরা।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে একটি ট্রেনের মধ্যে এভাবে গবাদি পশু পাচার করা হচ্ছিল? যদিও স্টেশনে কর্তব্যরত রেল কর্মী আধিকারিকদের সাফাই বুকিং করেই সেগুলো পাঠানো হচ্ছিল। প্রশ্ন উঠছে, যদি টিকিট বুকিং করে আগ্নেয়াস্ত্র বা নেশা যত দ্রব্য পাঠানো হয় সেক্ষেত্রেও নজরদারি থাকবে না? এগুলো দেখার দায়িত্ব কার? বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে যার উত্তর অধরা। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে।