Jalpaiguri: পুণ্যস্নান শেষে আর ফেরা হল না বাড়ি ফেরা হল বছর দশেকেরে বিবেকের, মায়ের চোখের সামনেই শেষ হল এক ছোট্ট প্রাণটা
Jalpaiguri: স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিবেকের মা নদীর পাড়ে থাকলেও বিবেক নিজে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নামে। আর তারপরেই বিপত্তি। স্নানে নামার কিছু সময়ের মধ্যেই সে তলিয়ে যায়। ছেলে ডুবে যাচ্ছে দেখে চিৎকার শুরু করে দেন মা।

জলপাইগুড়ি: পুণ্যস্নান শেষে আর ফেরা হল না বাড়ি। নদীতে ডুবে মৃত্যু হল শিশুর। চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি গৌরীহাট সংলগ্ন এলাকায়। এখানেই করলা নদীর ঘাটে চলছে বারৌনির স্নান ও মেলা। চলছে গঙ্গা আরতি। চলবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। জেলা-সহ নানা প্রান্ত থেকে নেমেছে অগণিত ভক্তদের ঢল। এখানেই মা-বাবার সঙ্গে স্নান করতে আসেন বছর দশেকের স্কুল পড়ুয়া বিবেক রায়। বাড়ি জলপাইগুড়ির বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিবেকের মা নদীর পাড়ে থাকলেও বিবেক নিজে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নামে। আর তারপরেই বিপত্তি। স্নানে নামার কিছু সময়ের মধ্যেই সে তলিয়ে যায়। ছেলে ডুবে যাচ্ছে দেখে চিৎকার শুরু করে দেন মা। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন অন্যান্য লোকজন। তাঁরাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পরেই দ্রুত বিবেককে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃৃত বলে ঘোষণা করে দেন। এদিকে বিবেকের পরিবারের লোকেরা এ ঘটনায় ওই ঘাটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ঘাটে স্নানের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই। দুর্ঘটনা এড়াতে সিভিল ডিফেন্সের কোনও কর্মীরাও নদীতে ছিল না। ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়েছে মেলা কমিটির তরফেও। ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিলেও কিন্তু কমিটির তরফে নদীতে না নামার জন্য সকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছিল বলে দাবি করছেন কর্তারা। কিন্তু, তারপরেও তাতে কর্ণপাত না করে নামার জন্যই বিপত্তি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় বলছেন, মেলায় পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে। তবু্ও কেন এমন ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।





