
জলপাইগুড়ি: ভোটের আগে ফের একবার কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বামেরা। শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। শনিবার কোচবিহার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে কর্মসূচি। আর এই বাংলা বাঁচাও যাত্রার মাঝেই ভাঙন সিপিএমে। সিপিএম ছেড়ে দুই শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। সিপিএমের সব কর্মীরাই জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মনের থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে নিলেন। এদিকে এ ঘটাতেই এখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে একদা বাম আন্দোলনের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে থাকা গরাল বাড়ি অঞ্চলে।
গরাল বাড়ি অঞ্চলে পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ২১। সমিতি তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখানে সিপিএমের সদস্য সংখ্যা ৭। বিজেপি রয়েছে ৩ নম্বরে। তাঁদের সদস্য সংখ্যা ১। তাই এখানেই দুই শতাধিক কর্মী সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ায় তা যে বামদের কাছে বড় ধাক্কা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু সিপিএম নয়, বিজেপি থেকেও শতাধিক কর্মী তৃণমূলে এসেছেন বলে স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেছেন। শনিবার রাতেই চলেছে যোগদান পর্ব। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলছেন, সিপিএম ও বিজেপি মিলিয়ে তিন শতাধিক কর্মী যোগদান করেছেন তৃণমূলে। যদিও এত কাণ্ড হয়ে গেল তাও নাকি কিছুই জানেন না সিপিএম নেতারা। বলেছেন ব্যস্ততার কথা।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য ইস্মাইল হক বলছেন, রবিবার বাংলা বাঁচাও যাত্রা জলপাইগুড়িতে চলে আসবে। তাই তার প্রচার নিয়ে তিনি এলাকায় ব্যাস্ত ছিলেন। সে কারণেই বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ নেবেন। অন্যদিকে বিজেপি বলছে তৃণমূলের দাবি নাকি মিথ্যা। খানিক কটাক্ষের সুরেই বিজেপির প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলছেন, “তৃণমূল মিথ্যা কথা বলছে। ওখানে আদৌও ৩০০ মানুষ ছিল না। আসলে তৃণমূল এখন ভাঙা নৌকা। ওখানে কেউ উঠবে না।”