Capital Punishment: নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রী-শিশুকন্যাকেই কুপিয়ে হত্যা, পরিণতিতে ফাঁসি ব্যক্তির
Capital Punishment: জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থানা এলাকার লুকসান চা বাগানের বাসিন্দা বছর বত্রিশের লালসিং ওরাওঁ। জানা গিয়েছে, তিনি কোনও কাজকর্ম করতেন না। উলটে তাঁর স্ত্রী সখী ওরাওঁ চা বাগানে কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করতেন, তা ছিনিয়ে নিয়ে নেশা করতেন। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত।

জলপাইগুড়ি: সবসময় নেশায় চুর থাকত। আর সেই নেশার জন্য টাকা না পেয়ে স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন। প্রায় বছর দুয়েক আগের সেই ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত যুবককে ফাঁসির সাজা দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। দোষীসাব্যস্ত যুবকের নাম লালসিং ওরাওঁ।
জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থানা এলাকার লুকসান চা বাগানের বাসিন্দা বছর বত্রিশের লালসিং ওরাওঁ। জানা গিয়েছে, তিনি কোনও কাজকর্ম করতেন না। উলটে তাঁর স্ত্রী সখী ওরাওঁ চা বাগানে কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করতেন, তা ছিনিয়ে নিয়ে নেশা করতেন। বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করতেন। অভিযোগ, সেই কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন লালসিং। ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ, ঘটনার দিনও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি বাধে। তখনই বছর সাতাশের স্ত্রী সখী ওরাওঁ এবং ১৮ মাসের কন্যাসন্তান মমতা ওরাওঁকে নৃশংসভাবে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। স্ত্রী-কন্যাকে খুনের পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
চিৎকার শুনে লালসিংয়ের ভাই পান্নালাল ওরাওঁ ছুটে আসেন। তিনি দেখেন, সখী ওরাওঁ ও মমতা ওরাওঁ ঘরে পড়ে রয়েছে। লালসিং দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। আত্মহত্যার চেষ্টা করায় তিনিও রক্তাক্ত।
এই খবরটিও পড়ুন




ঘটনার প্রায় ২ বছর পর মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিচারক বিপ্লব রায় দোষীসাব্যস্ত লালসিংকে ফাঁসির সাজা দিলেন। এই নিয়ে সরকারি আইনজীবী প্রসেনজিৎ দেব বলেন, ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত করে চার্জসিট জমা দেয়। এরপর ট্রায়াল শুরু হলে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালতের অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায় লালসিং ওরাওঁকে ফাঁসির আদেশ দেন।





