Jalpaiguri: এক সিরিঞ্জ দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কোভিড টিকাকরণ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে
Corona Vaccination: "সিঙ্গেল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়। যদি সরকার থেকে ভ্যাকসিন আসে ৩০ হাজার, ইন্টারলক সিরিঞ্জ আসে ১৫ হাজার। কম সিরিঞ্জ আসে সরকার থেকে। সেক্ষেত্রে আমাদের অর্ডারেই বলা হয়েছে ২ সিসি ডিজপোজাল সিরিঞ্জ ব্যবহার করার। কিন্তু যে অভিযোগ উঠেছে তা গুরুতর।''
জলপাইগুড়ি: একেক জন করে টিকা নিতে টিকাকেন্দ্রের চেয়ারে বসছেন। তাঁদের সুচ ফুটিয়ে টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী। পরে আবার একজন আসছেন। সেই সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা (Corona Vaccine)। এইভাবে এক ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ ব্যবহার করে একাধিক ব্যক্তিকে কোভিড ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তে নড়েচড়ে বসল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মোট চার স্বাস্থ্য কর্মীকে শো-কজ করল স্বাস্থ্য দফতর।
ঠিক কী ঘটেছিল?
এদিন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা কলোনি এলাকায় শিবির করে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে এক সিরিঞ্জ দিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার ছবি ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। সেই ছবি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। কীভাবে এক সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যে ব্যক্তিদের টিকাকরণ হল তাঁরা জানতেনই না, এমন হচ্ছে বলে খবর। এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল এলাকায়। মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস জানান, এক সিরিঞ্জ দিয়ে একজন কে ভ্যাকসিন দেওয়াই নিয়ম। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় চারজন-কে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু একজনকে যে টিকা দেওয়ার পর সেই সিরিঞ্জ যে ব্যবহার করা যায় না, সেই সাধারণ বিষয়টি কি ওই স্বাস্থ্য কর্মীদের অজানা ছিল? এর উত্তর এখন কেউই দেননি।
এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, “আমি দেখলাম একই সিরিঞ্জ দিয়ে ২ জনের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা আমি পুরো জানি না। এখন নিজেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খবর নেব। ছবিতে তো দেখলাম একই সিরিঞ্জ দিয়ে এমন টিকা দেওয়ার কাজ একেবারেই ঠিক নয়। এক সিরিঞ্জ দিয়ে একজনকে ভ্যাকসিন দেওয়াই নিয়ম। আমরা স্বাস্থ্য বিষয়টি জানাব।”
এদিকে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাসের বক্তব্য, “দিদিমনি একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে ডিসকার্ড করেননি। ওটা টেবিলের উপর রেখেছিলেন। আমি ভাল করে ভিডিয়োটা দেখেছি। যাই হোক, ওটা টেবিলের উপর তো রাখারও কথা নয়। তবে আমরা শো-কজ করব। ইনকোয়ারি কমিটি গঠন হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে নিশ্চয়ই তার যে সাজা হওয়ার তা হবে।”
তিনি যোগ করেন, যিনি ভ্যাকসিনেশনের দায়িত্বে ছিলেন এবং যাঁরা দিচ্ছিলেন প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলা হবে। বিএমওএইচকেও বলা হয়েছে। সিঙ্গেল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়। যদি সরকার থেকে ভ্যাকসিন আসে ৩০ হাজার, ইন্টারলক সিরিঞ্জ আসে ১৫ হাজার। কম সিরিঞ্জ আসে সরকার থেকে। সেক্ষেত্রে আমাদের অর্ডারেই বলা হয়েছে ২ সিসি ডিজপোজাল সিরিঞ্জ ব্যবহার করার। কিন্তু যে অভিযোগ উঠেছে তা গুরুতর। বিএমওএইচকে সাবধান করা হয়েছে।
কিন্তু একই সিরিঞ্জ দিয়ে যাঁদের এই একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ভ্য়াকসিন দেওয়া হল, তাঁদের চিহ্নিতকরণ করা হবে কিনা তা নিয়ে কোনও সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে। বিষয়টি নিয়ে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।