AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: ৩ দিন আগে জন্ম! হাসপাতাল থেকে ছুটির পরেও মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল সদ্যজাত, থানায় পরিবার

Jalpaiguri: বৃহস্পতিবার বিকালে মা ও শিশুটিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ছুটি দেওয়ার পর বাড়ি নিয়ে যেতে না যেতেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না পেয়ে শিশুটিকে তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

Jalpaiguri: ৩ দিন আগে জন্ম! হাসপাতাল থেকে ছুটির পরেও মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল সদ্যজাত, থানায় পরিবার
ব্যাপক উত্তেজনা হাসপাতালে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2025 | 6:01 PM
Share

রাজগঞ্জ: মাত্র তিনদিন আগে পৃথিবীর আলো দেখেছিল একরত্তিটা। চিকিৎসায় গাফিলতিতে সেই সদ্যজাতের মৃত্যুতে উত্তাল রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল। তুমুল বিক্ষোভ শিশুর পরিজনদের। গত মঙ্গলবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রেশ্বর এলাকার বাসিন্দা সুনিতা রায়। এক পুত্র সন্তানেরও জন্ম দেন। জন্মের পর থেকে শরীর ভাল ছিল না শিশুটির। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বারবার সে কথা চিকিৎসক থেকে নার্সদের জানানো হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি। 

যদিও এরইমধ্য়ে বৃহস্পতিবার বিকালে মা ও শিশুটিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ছুটি দেওয়ার পর বাড়ি নিয়ে যেতে না যেতেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না পেয়ে শিশুটিকে তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। এরইমধ্যে পরিবারের সদস্যরা মৃত শিশুটিকে নিয়ে চলে আসেন রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালের এমারজেন্সি গেটের সামনে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। 

পরিবারের সদস্যদের দাবি, বারবার শিশুটির অবস্থার কথা ডাক্তারদের জানালেও কোনও কাজ হয়নি। নার্সরাও শুধু ঘুরিয়েছেন। যদি ঠিকভাবে চিকিৎসা হত তাহলে এই দিন দেখতে হত না। বিক্ষুব্ধ পরিজনরা, দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক-নার্সদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রাজগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত দত্ত। শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে ওঠে বিক্ষোভ। দুঃখ প্রকাশ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি বলছেন, বিষয়টি খুব দুঃখজনক। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। যদি কেউ দোষ করে থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করছি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।