AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Library: বইয়ের জন্য পথে, শতাব্দী প্রাচীন গ্রন্থাগার বাঁচানোর আর্জিতে ডেপুটেশন

Jalpaiguri: ১৯১০ সালে তৈরি হয় রাধিকা গ্রন্থাগার। বহু প্রাচীন বই রয়েছে এই লাইব্রেরির চার দেওয়ালের ভিতর। অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই বইগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মঞ্চের সদস্যদের অভিযোগ, যে জমির উপর এই গ্রন্থাগার, সেই জমির দিকেও অনেকের নজর। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Library: বইয়ের জন্য পথে, শতাব্দী প্রাচীন গ্রন্থাগার বাঁচানোর আর্জিতে ডেপুটেশন
এই গ্রন্থাগার বাঁচাতেই পথে নেমেছেন জলপাইগুড়ির মানুষ।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 27, 2024 | 5:07 PM
Share

জলপাইগুড়ি: শতাব্দী প্রাচীন গ্রন্থাগার। এখন তা যত্নের অভাবে ধূসর হতে চলেছে। তাকেই বাঁচাতে পথে নামলেন জলপাইগুড়ির বিশিষ্টজনেরা। ময়নাগুড়ি রাধিকা লাইব্রেরি বাঁচতে এবার একজোট হলেন জলপাইগুড়ি জেলার মানুষ। ময়নাগুড়ি রাধিকা লাইব্রেরি উন্নয়ন মঞ্চ গড়ে একাধিক দাবি নিয়ে সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

শিক্ষাই জীবনের বুনিয়াদ। বইয়ের পাতার ভাঁজেই লুকিয়ে জিওনকাঠি। স্কুল কলেজের পাশাপাশি একটা সময় গ্রন্থাগারগুলি ছিল শিক্ষার পীঠস্থান। কত রকমের বই সেখানে। আর সেসব বইয়ের পাতা কত অজানাকে জানার সুযোগ করে দিত। তবে এখন গ্রন্থাগারে যাওয়ার চলটা হারাতে বসেছে। এখন সবই ‘অনলাইন’ নির্ভর। শিক্ষাও। সময়ের সঙ্গে বদল তো আসবেই। তবে সমস্ত ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে, সেটাও তো কাম্য নয়। তাই বোধহয় এ যুগেও গ্রন্থাগার বাঁচাতে পথে নামার মানুষ মেলে। যেমন নামলেন জলপাইগুড়ির সচেতন সমাজ।

১৯১০ সালে তৈরি হয় রাধিকা গ্রন্থাগার। বহু প্রাচীন বই রয়েছে এই লাইব্রেরির চার দেওয়ালের ভিতর। অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই বইগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মঞ্চের সদস্যদের অভিযোগ, যে জমির উপর এই গ্রন্থাগার, সেই জমির দিকেও অনেকের নজর। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে বলে অভিযোগ।

এ নিয়েই সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে উপস্থিত হন ময়নাগুড়ি রাধিকা লাইব্রেরি উন্নয়ন মঞ্চের সদস্যরা। অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের বক্তব্য সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। অতিরিক্ত জেলাশাসকও বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। মঞ্চের তরফে উমেশ শর্মা বলেন, “শতবর্ষ প্রাচীন এই লাইব্রেরিকে টিকিয়ে রাখতে প্রশাসন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, এই আশ্বাস আজ পেয়েছি। আশা করি গ্রন্থাগারটা থাকবে।”