Dhupguri: দরজা লক, জানালার কাচ তোলা, বাজারের সামনেই পুলকারের ভিতরে ইংরাজি মাধ্যমের একাধিক পড়ুয়াকে যে অবস্থায় দেখতে পেলেন ব্যবসায়ীরা…
Dhupguri: গাড়ির ভিতর শিশুরা ছটফট করছে দেখে ছুটে আসেন আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। কোনও মতে গাড়ির দরজা খুলে শিশুদেরকে পাশের একটি দোকানে বসানো হয়। তারও প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর সেই গাড়িচালক যান গাড়ির কাছে। চালক কাছে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
পূর্ব বর্ধমান: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পুলকারে আটকে ছটফট করছে পাঁচ স্কুল পড়ুয়া। উধাও গাড়ি চালক। এমনই চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখে হতবাক শহরবাসী থেকে রাস্তার পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি গয়েরকাটা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি বেসরকারি মাধ্যম স্কুলের প্রাইমারি সেকশনের পড়ুয়াদের নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিল একটি পুলকার। মাঝ রাস্তায় সেই পুলকারের পেট্রোল শেষ হয়ে যায়। আর তা আনতেই গাড়িচালক গাড়ির ভেতরে শিশুদের কাচের জানালা বন্ধ করে দরজা লক করে চলে যান বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
একদিকে টাক ফাটা গরম, তার মধ্যে জানালা দরজা বন্ধ অবস্থায় গাড়ির ভেতরে আটকে শিশুরা। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড গরমে ছটফট করতে থাকে শিশুরা। তাদের মধ্যে নিস্তেজও হয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন। চোখ মুখ কান লাল হয়ে যায় প্রচণ্ড গরমে। শ্বাস প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল অনেকের। এমনটাই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
গাড়ির ভিতর শিশুরা ছটফট করছে দেখে ছুটে আসেন আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। কোনও মতে গাড়ির দরজা খুলে শিশুদেরকে পাশের একটি দোকানে বসানো হয়। তারও প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর সেই গাড়িচালক যান গাড়ির কাছে। চালক কাছে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা। শুধু তেল শেষ হওয়া নয় সেই গাড়িটি স্টার্ট সঠিক ভাবে নিচ্ছিল না। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দীপু রায়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চালক গাড়ির মধ্যে শিশুদের আটকে রেখে তেল আনতে যাওয়ায় রীতিমত গরমে কষ্ট হচ্ছিলো শিশুদের। গাড়ির ভেতরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল প্রচন্ড গরম ছিল আজ ধূপগুড়ি তে। যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। অবস্থা খারাপ হতে দেখেই তারা গাড়ি থেকে নামিয়ে দোকানে বসান এবং ঠান্ডা পানীয় খাওয়ান শিশুদের।
যদিও অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেছেন পুলকারের চালক। তাঁর বক্তব্য, বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতেই তিনি দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর এই ঘটনা থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এইভাবে আটকে থেকেই যদি কোন শিশুর দুর্ঘটনা ঘটত, তাহলে তার দায় কার হত?