AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhupguri: শরীর ভাল নেই, কথা ছিল ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবে ‘বাবা’… এক লহমায় বদলে গিয়েছে সব, শুধুই টিভি-তে চোখ ওদের

Dhupguri: অফিসারদের বার্তা পেয়েই দ্রুত ছুটে গিয়েছেন ভারতের পশ্চিম প্রান্তে। কোথায় আছেন, কী করছেন, সে সব তথ্য বাড়িতেও জানাচ্ছেন না সঠিকভাবে।

Dhupguri: শরীর ভাল নেই, কথা ছিল ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবে 'বাবা'... এক লহমায় বদলে গিয়েছে সব, শুধুই টিভি-তে চোখ ওদের
সেনা জওয়ান প্রদীপ প্রধান ও তাঁর পরিবারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2025 | 9:06 AM

জলপাইগুড়ি: বাড়িতে রয়েছে দুই সন্তান, স্ত্রী ও বাবা-মা। ছোট ছেলে প্রিয়াস অসুস্থ। মাসের পর মাস তাকে ছেড়ে থাকতে হয় অনেক দূরে। কথা ছিল, আগামী জুন মাসে বাড়ি ফিরে প্রিয়াসকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। কিন্তু তা বোধহয় আর হবে না। দেশের সীমান্তে যদি হানা দেয় শত্রুপক্ষ, তাই সদা সজাগ থাকতে হবে। আপাতত সব ছুটি বাতিল। কবে বাড়ি ফিরবেন প্রদীপ, জানা নেই পরিবারের সদস্যদের। প্রতি মুহূর্তে শুধুই টিভির স্ক্রিনে নজর রাখছে তারা।

জলপাইগুড়ির এথেলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ প্রধান। বর্তমানে তিনি পঞ্জাবের পঞ্চকুল্লা এলাকায় কর্মরত। অফিসারদের বার্তা পেয়েই দ্রুত ছুটে গিয়েছেন ভারতের পশ্চিম প্রান্তে। কোথায় আছেন, কী করছেন, সে সব তথ্য বাড়িতেও জানাচ্ছেন না সঠিকভাবে।

প্রদীপ প্রধানের বড় ছেলে পীয়ুষ দশম শ্রেণির ছাত্র। ছোট ছেলে প্রিয়াস পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। কিডনির সমস্যায় ভুগছে প্রিয়াস। মা জানালেন তার একটিমাত্র কিডনি রয়েছে। আগামী জুন মাসে ছোট ছেলেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল প্রদীপের। তাই ছুটিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। কবে ছুটি মিলবে জানা নেই!

পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। ছুটি বাতিল হয়েছে সমস্ত সেনা জওয়ানের। সেই নিয়ম থেকে বাদ পড়েননি প্রদীপও। ডাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নিজের কর্মস্থলে যেতে হয়েছে তাঁকে। সেই কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছে গোটা পরিবার।

দুই সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে মায়ের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ইন্দিরা। রাতের ঘুম উধাও হয়েছে। তবুও তিনি বলেন, স্বামী দেশের জন্য লড়াই করছে। ওর পাশে আছি। পাশেই থাকব। দেশের স্বার্থে সব মেনে নিয়েছেন তিনি । বড় ছেলে পীয়ুষ বলছে, ‘বাবা সীমান্তে রয়েছে, তাই আমরা সকলে চিন্তায় থাকি। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আগে টিভি খুলে খবর দেখি। প্রতিদিন ফোনে বাবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। তবে যাই হোক না কেন, যুদ্ধ কাম্য নয়।’