Dooars: চিলাপাতার জঙ্গলে পা রাখতেই মৃত্যুর হাতছানি! বর্ষশেষের ভোরে ডুয়ার্সে পর্যটকের মর্মান্তিক পরিণতি
Dooars: প্রদীপ দিন চারেক আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ডুয়ার্সে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বছরের শেষ দিন সকালে জলদাপাড়া ফরেস্টে এসে চিলাপাতা জঙ্গলে বেড়াতে যান। তারপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ডুয়ার্স: বছরশেষে পরিবার নিয়ে ডুয়ার্সে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে জঙ্গলে ঘুরতেও যান। কিন্তু সেখানেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। জঙ্গল ঘুরতে ঘুরতেই আচমকা বুকে ব্যথা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বছর আটচল্লিশের প্রদীপ সাহা। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়েও যান। চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে ছেড়ে দেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার জন্য বাসে ওঠার আগেই সবটা শেষ। মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ডুয়ার্সে জলদাপাড়া ঘুরতে এসে মৃত্যু হল এক পর্যটকের । মৃতের নাম প্রদীপ সাহা (৪৮)। জানা গিয়েছে, তিনি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, প্রদীপ দিন চারেক আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ডুয়ার্সে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বছরের শেষ দিন সকালে জলদাপাড়া ফরেস্টে এসে চিলাপাতা জঙ্গলে বেড়াতে যান। তারপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি করে বাকি পর্যটক ও ট্যুর গাইডরা বীরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করান।
বীরপাড়া হাসপাতালে সকালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকেন তিনি। বিকেল ৪টার সময় কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে ছুটি দিয়ে দেন বলে পরিবারের দাবি। এরপর বাসেই বাকি পর্যটকদের সঙ্গে রওনা দেন তিনি।
ধূপগুড়ি শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বামনি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বাস এসে পৌঁছলে প্রদীপ আবারও অসুস্থ বোধ করেন। তৎক্ষণাৎ ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় প্রদীপের। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন, হৃদরোগ জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে সেই পর্যটকের। তবে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। দেহটি বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।