জলপাইগুড়ি: বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি। তা নিয়ে আদালতের নির্দেশ না মানায় এবার রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সাফাই দিতে গিয়ে প্রশাসনের ‘গাফিলতিকেই’ দায়ী করলেন ডিপিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান। কাঠগড়ায় তুললেন বামেদেরও। বিজেপি আবার সুর চড়ালো বাম-তৃণমূল সেটিং নিয়ে। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই মঙ্গলবার রুল জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেল পুনর্গঠনের নির্দেশ কার্যকর না করার জন্য এই পদক্ষেপ। তা নিয়েই এখন জোর শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে।
যার বিরুদ্ধে রুল জারি হয়েছে সেই তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বর্তমান চেয়ারম্যান লৈক্ষ্য মোহন রায় বলছেন, “পুরোটাই বাম আমলের। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আগেই সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে তিনজন প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেছিল। ২০১৬ সালে কোর্ট প্যানেলটিকে পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তখন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।” তাঁর সাফ কথা, “আমি সেই সময় দায়িত্বে ছিলাম না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি ২০২১ সালে। কিন্তু যেহেতু চেয়ার। সেই কারণেই আমাকেই ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হতে হচ্ছে।”
প্রতিক্রিয়া এসেছে বামেদের থেকেও। সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই সময় সংস্থার আধিকারিকেরা দুর্নীতি করেছেন। এটা আদালতেই প্রমাণিত। প্রকৃত মেধা মার খেল। আদলতের নির্দেশ তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড কার্যকর করেনি। তৃণমূল যে সর্বদাই দুর্নীতি করছে তা আবার প্রমাণিত।” অন্যদিকে বাম-তৃণমূল দু’জনকেই একহাত নিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, “আমরা সবসময় বছি সিপিএম আর তৃণমূলের মধ্যে সেটিং রয়েছে। সেটা আবার প্রমাণিত হলো। বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। তা নিয়ে আদালত নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড তা ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। আমাদের সাফ দাবি যোগ্যরা চাকরি পাক।”