Madhyamik examinee suicide: ‘দিন-দিন কেমন গুমরে যাচ্ছিল মেয়েটা’, পরে ফাঁস হল পাড়াতুতো ‘দাদার’ আসল কীর্তি
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকার বাসিন্দা ধর্মদেব হাইস্কুলের পড়ুয়া মনিকা কীর্তনিয়া। বুধবার পরীক্ষা দিয়ে ফেরে সে।
জলপাইগুড়ি: শুরু হয়েছে মাধ্যমিক। ইতিমধ্যে বাংলা, ইংরেজি পরীক্ষা হয়েও গিয়েছে। বেশ চলছিল কয়েকদিন। আর কটা দিন পরই শেষ হত পরীক্ষা। কিন্তু কপাল হয়ত সঙ্গ দিল না! ছোট্ট মেয়েটিকে অবলীলায় দিতে হল প্রাণ। প্রতিবেশীর প্ররোচনার শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকার বাসিন্দা ধর্মদেব হাইস্কুলের পড়ুয়া মনিকা কীর্তনিয়া। বুধবার পরীক্ষা দিয়ে ফোরে সে। এমনিতেই চুপচাপ, তারপর সেদিনের পরীক্ষা দিয়ে আসার পর থেকে যেন আরও গুমরে গিয়েছিল। হয়ত পরীক্ষা ভালো হয়নি বা যতটা আশা ছিল সেই অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেননি এমনটাই প্রথমে ভেবেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু নাবালিকার মনে-মনে যে এই ছিল তা বুঝে উঠতে পারেননি। নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মনিকা।
মেয়ের মৃত্যুর পর মর্মাহত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রতিবেশী এক যুবক ও তার দিদির বিরুদ্ধে সরাসরি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
মৃত ছাত্রীর কাকা রঘুনাথ কীর্তনিয়া জানান, “অত্যন্ত চাপা এবং শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল মনিকা। ছাত্রী হিসেবেও যথেষ্ট ভাল ছিল সে। মাস কয়েক আগে এলাকার এক যুবক মনিকাকে উত্যক্ত করা শুরু করে। একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাবও দেয় সে। কিন্তু প্রতিবারই নাকচ করে দেয় আমাদের মেয়ে।এই অবস্থায় ওই যুবক ও তার দিদি প্রস্তাবে রাজি না হলে অ্যাসিড ছুড়ে সর্বাঙ্গ পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।” এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি রঘুনাথ বাবু জানান, ” অ্যাসিড হুমকির ঘটনার কথা জানার পর থেকেই ওই যুবক ও তার দিদির সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলি আমরা। মেয়ের কোনও ক্ষতি হলে আইনানুগ পদক্ষেপেরও কথা জানাই। এরপর কয়েকদিন সব ঠিক ছিল।” কিন্তু ফের বদলে গেল। অভিযোগ, মনিকা পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে ফের ওই যুবক তার সঙ্গে দেখা করে মানষিক চাপ সৃষ্টি করে। প্রাণে মারার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই বাড়ি ফিরে বুধবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে মনিকা। শুক্রবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় ছাত্রীর পরিবার। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ না করলে পথ অবরোধের ও হুমকি দেন তারা।
অপরদিকে তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন পরিবারের সদস্য রাজকুমার মণ্ডল। তার দাবি অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনায় কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।