Snake in Bus: চলন্ত বাসে ঘাপটি মেরে ছিল কাল নাগিনী, দেখামাত্রই চিল চিৎকার যাত্রীদের
Snake in Bus: জানা গিয়েছে শনিবার সকালে যাত্রী বোঝাই করে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি থেকে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বাসটি। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়ি তিস্তা ব্রিজে আসলে সাপটিকে নজরে পরে বাসে থাকা এক বাচ্চার।
জলপাইগুড়ি: চলন্ত বাসেই আস্ত সাপ (Snake in Bus)। দেখা মাত্রই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন যাত্রীরা। তবে যে সে সাপ নয়, একেবারে কাল নাগিনী। যাত্রী বোঝাই বাসে ঘাপটি মেরে ছিল এই কাল নাগিনী। চলন্ত বাসেই প্রথম নজরে আসে যাত্রীদের। এরপর শুরু হয় হুলুস্থুল কান্ড। বাস থামিয়ে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। এরপর বাসটিকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বাস স্ট্যান্ডে। খবর দেওয়া হয় পরিবেশ কর্মী অঙ্কুর দাসকে। তিনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করলে হাফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে।
জানা গিয়েছে শনিবার সকালে যাত্রী বোঝাই করে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি থেকে জলপাইগুড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছিল বাসটি। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়ি তিস্তা ব্রিজে আসলে সাপটিকে নজরে পরে বাসে থাকা এক বাচ্চার। সেই ডেকে বাকিদের দেখায়। এরপর শুরু হয় যায় হুলুস্থুল কান্ড। কাল নাগিনী নিয়ে বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের গল্প সহ নানা গল্পকথা থাকলেও এটি আসলে নির্বিষ সাপ। ঘটনা প্রসঙ্গে বাসের এক যাত্রী বলেন, “ওখানে একটা বাচ্চা বসেছিল। ওই সাপটা প্রথম দেখে। চিৎকার করে ওঠে। তারপর আমিও দেখি। তবে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। সবাইকে ধীরে ধীরে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।”
গ্রিন জলপাইগুড়ি এনজিও সদস্য তথা পরিবেশ কর্মী অঙ্কুর দাস বলেন, “এই সাপ এমনিতে খুবই বিরল। খবর পাওয়ার পর আমরা গিয়েছিলাম। ততক্ষণে বাস থেকে সবাইরে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে আমরা বাস মালিকের সঙ্গে কথা বলে সেটিকে গ্যারেজে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। সেখান থেকেই সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। সাপটা সুস্থ আছে। তবে সাপটা বাসের মধ্যে কোথা থেকে ঢুকেছে সেটা এখনও জানা যায়নি। বন দফতরের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ওদের হাতেই সাপটিকে তুলে দিচ্ছি।”