Malbazar Municipality: দোকানঘরের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি, হয়রানির শিকার অবসরপ্রাপ্ত রেলপুলিশ

Malbazar: মূলত অভিযোগ উঠেছে মার্কেট কমপ্লেক্সে দু'টি দোকান ঘর নেওয়ার জন্য মালবাজার পৌরসভাকে ১৮ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন বিরাজবাবু।

Malbazar Municipality: দোকানঘরের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি, হয়রানির শিকার অবসরপ্রাপ্ত রেলপুলিশ
মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েও মেলেনি দোকানঘর (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2023 | 5:50 PM

মালবাজার: আবারও অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে মালবাজার পৌরসভা। অভিযোগ উঠেছে মার্কেট কমপ্লেক্সের দোকান ঘর বন্টনকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ করেছেন শহরের ১৫ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিরাজ কুমার সিংহ। মূলত অভিযোগ উঠেছে মার্কেট কমপ্লেক্সে দু’টি দোকান ঘর নেওয়ার জন্য মালবাজার পৌরসভাকে ১৮ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন বিরাজবাবু। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দোকান ঘর দুটির মালিকানা মেলেনি।

প্রসঙ্গত,  ২০১৮ নিজের বেকার একমাত্র সন্তানের কর্মসংস্থানের জন্য পৌরসভার অধীনে থাকা স্টেশন রোডে মার্কেট কমপ্লেক্সে দু’টি দোকানঘর কেনার পৌরসভার কাছে আবেদন পত্র জমা দেন। পরবর্তীতে সেই মোতাবেক ১৮ লক্ষ টাকা পৌরসভাতে জমা করেন। কিন্তু দোকান ঘর অধরাই থেকে যায়। বহুবার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করলেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেই অভিযোগ রেল পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত দম্পতির। ২০১৮ – ২০২২ বহুবার পৌরসভায় গিয়েছেন এবং কথাও বলেছেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে। কিন্তু কোনও রকম সুরাহা হয়নি বলেই দাবি বিরাজ বাবুর।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরাজ কুমার সিংহ বলেন, “দোকান ঘর নিয়ে চেয়ারম্যানের গরিমসির কারণেই হতাশাগ্রস্ত হয়েই আমাদের একমাত্র সন্তান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। আমার সাথেও উনি কার্যত দুর্ব্যবহার করেছেন ” তিনি আরও বলেন,”আমার প্রাপ্য দোকান ঘর অন্যের কাছে বিক্রি করে দেবার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যানের বাধার কারণে তা বিক্রি করে উঠতে পারিনি। উনি নিজেই দোকানঘর কিনে নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং আর্থিক বিষয়ও চূড়ান্ত হয়েছিল” তাঁর বক্তব্য, “২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে বকেয়া অর্থ রাশি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য লিখিত চুক্তিও করেছিলেন পৌরসভার প্যাডে। কিন্তু জানুয়ারি মাস অতিক্রম করে গেলেও আমার প্রাপ্য অর্থ আমাকে মেটানো হয়নি।”

আর এ প্রসঙ্গে মালবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “দোকান ঘর নেবার জন্য অর্থ উনি পৌরসভায় জমা করেছেন। যেদিন চাইবেন সেদিনই দোকান ঘর পেয়ে যাবেন।”

বস্তুত, মার্কেট কমপ্লেক্সের দোকান ঘর বন্টনকে কেন্দ্র করে বিগত দিনেও বহুবার পৌরসভা ও চেয়ারম্যান স্বপন সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল। আর বারংবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরবোর্ডের  বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় শহরবাসীর মধ্যেও প্রশ্ন দানা বাঁধছে। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে সোচ্চার হতে শুরু করেছে শহরের বিরোধী দলগুলিও।

সিপিআই(এম) জেলা কমিটির সদস্য পার্থ দাস বলেন, “বর্তমান ক্ষমতাসিন পৌর বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠছে। আমরা পৌরসভা অভিযান করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি রেখেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। আমরা পুনরায় আন্দোলনের পথে যাব।” মাল টাউন বিজেপির সভাপতি নবীন সাহা বলেন,” বর্তমান ক্ষমতাসীন বোর্ড দুর্নীতিগ্রস্ত। তা তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডেই পরিষ্কার হয়েছে। বিগত দিনও দোকান ঘর বন্টন সহ একাধিক বিষয়ে দুর্নীতি সামনে এসেছে। অবিলম্বে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়ে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা উচিত।”