Paray Shikshalay: ‘পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়েছে পড়ুয়ারা!’ পাড়ায় শিক্ষালয়ের প্রথম দিনের উপস্থিতি নিমিত্ত মাত্র
Jalpaiguri Paray Shikshalay: সূত্রের খবর, স্কুলে চলতি বছর যত সংখ্য়ক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে তার তুলনায় ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত সংখ্যা খুবই কম। ফলত চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষকরা।
জলপাইগুড়ি: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে শুরু হল পাড়ায় শিক্ষালয় (Paray Shikshalay)। গাছের তলায়, খোলা জায়গায় বা ছাউনি দেওয়া জায়গায় পড়াশোনা করবে পড়ুয়ারা। দফায় দু’ঘণ্টা ধরে চলবে লেখাপড়া। স্কুল ছুট রুখতে প্রি-প্রাইমারি থেকে শুরু করে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য নেওয়া হয়েছে এই বিশেষ উদ্যোগ। তবে যাঁদের জন্য এত কিছু আদৌ কি তাঁদের প্রথম দিনের উপস্থিতি নজর কাড়ল? জলপাইগুড়ির ছবিটা অন্তত বলছে ‘না’।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সকাল ১১টা মিনিটে শুরু হয় ক্লাস। খোলা আকাশের নিচে ফুটবল ময়দানের একটি গাছের তলায় ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শিশুদের উপস্থিতি ততধিক লক্ষ্য করা গেল না। সূত্রের খবর, স্কুলে চলতি বছর যত সংখ্য়ক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে তার তুলনায় ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত সংখ্যা খুবই কম। ফলত চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষকরা। তাঁরা মনে করছেন,দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা, তাই স্কুলের তরফে অভিভাবকদের ফোন করে যেমন বলা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের পাড়ায় শিক্ষালয়ে নিয়ে আসার জন্য, তেমনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিন্তু প্রচার চালানো হচ্ছে।
তবে প্রচারেও কিন্তু এখনো আগ্রহ ফিরে আসেনি পড়ার প্রতি। তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এমনটাই বলছেন। স্কুল সভাপতি মুনমুন বসু বলেন, “আজকে প্রথম স্কুল চালু হল। ভাগ-ভাগ করে করা হয়েছে স্কুল। কিছুটা করা হয়েছে ফুটবল খেলার মাঠে। কিছুটা কলেজ ক্যাম্পাসে। অভিভাবকদের সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছে। এগারোটা থেকে ক্লাস শুরু। অভিভাবকদের বলা হয়েছে আপাতত কয়েকদিন ক্লাস করুক কারণ বৃষ্টির মধ্যে এইভাবে ক্লাস করা সম্ভব নয়। ততদিনে মনে হয় খুলে যাবে স্কুল।” পিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পবিত্র রায় বলেন, “আমরা যত সংখ্যক পড়ুয়ার উপস্থিতি আশা করেছিলাম তা হয়নি। বাড়ি-বাড়ি গিয়েছিলাম প্রচার চালানোর জন্য যাতে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠান মা-বাবারা। মনে করা হচ্ছে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে হয়ত তারা ভুলে গিয়েছে। আগ্রহ হারিয়েছে। আমরা মনে করছি পাড়ায় শিক্ষালয় দিয়ে হয়ত পড়ুয়ারা ধীরে-ধীরে ফিরে আসবে। আমরা সব রকম চেষ্টা করছি যাতে শিশুরা এসে পড়াশোনা করে।”