Paray Shikshalay: স্টেডিয়ামে প্রখর রোদেই ক্লাস, নেই পানীয় জল, শিলিগুড়িতে ‘পাড়ার শিক্ষালয়ে’ অসুস্থ একাধিক শিশু

Paray Shikshalay: দু'দফায় মোট ৪ ঘণ্টা ক্লাস হবে। চার ঘণ্টা এইভাবে কড়া রোদে বসে থাকলে, শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন অভিভাবকরা। তেমনটাই হয়েছে।

Paray Shikshalay: স্টেডিয়ামে প্রখর রোদেই ক্লাস, নেই পানীয় জল, শিলিগুড়িতে 'পাড়ার শিক্ষালয়ে' অসুস্থ একাধিক শিশু
শিলিগুড়িতে পাড়ার শিক্ষালয়ে অসুস্থ একাধিক পড়ুয়া (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2022 | 12:11 PM

শিলিগুড়ি: স্টেডিয়াম, খোলা আকাশ, উন্মুক্ত প্রাঙ্গন।  মাথার ওপর গনগনে সূর্য। চড়চড়ে রোদ। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। তাতেই ক্লাস। এমন পরিবেশে ক্লাস করার অভ্যাসই নেই খুদেদের। শুরুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ল একাধিক শিশু। শিলিগুড়িতে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচির শুরুতেই বিপত্তি। খোলা স্টেডিয়ামে ক্লাস করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে একাধিক পড়ুয়া। যথেষ্টই অব্যবস্থার ছবি ধরা পড়ল শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের পাড়ার শিক্ষালয়ে। নেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো।

কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে তিনটি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে আসা হয়। প্রচণ্ড রোদের মধ্যেই বসানো হয় পড়ুয়াদের। প্রি প্রাইমারি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে আসা হয় এখানে। তবে ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক শিশু। তাদেরকে জল দিতে গিয়েও বিপত্তি। পাড়ার শিক্ষালয়ে পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থাই নেই। খাওয়ার জলের ড্রামটাই ফাঁকা। নিজেরা যা জল এনেছে পড়ুয়ারা, সেটাই সম্বল।

সকাল দশটা থেকে পড়ুয়ারা এসে বসে স্টেডিয়ামে। ১১টা থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। ক্লাস চলার কথা দেড়টা পর্যন্ত। যেহেতু এদিন অর্ধদিবস। মঙ্গলবার থেকে স্কুল চলবে পুরোটাই। কিন্তু এভাবে কীকরে ক্লাস করবে খুদেরা? প্রশ্ন সেখানেই। অভিভাবকদের বক্তব্য, যদি স্কুল চালাতেই হয়, তাহলে স্কুল প্রাঙ্গনেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাওয়া হোক।

এক অভিভাবক বলেন, “আমার মেয়ে সেভেনে পড়ে শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে। স্কুল খুলেছে খুশি। স্কুলটা স্কুলেই হোক। এটাই বলব। এখানে ক্লাস করার কোনও পরিকাঠামো নেই।” আরেক অভিভাবক বলেন, “আমাদের ম্যামরা চেষ্টা করছেন না, তেমনটা নয়। তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু এইভাবে কি স্কুল করানো সম্ভব? এখানে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা নেই। টয়লেট, জলের সমস্যা। সবচেয়ে বড়ে সমস্যা রোদ।”

শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের পড়ুয়াদের সরিয়ে নেওয়া হয় উল্টোদিকের গ্যালারিতে। গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়াদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ দিকের গ্যালারিতে। কিছুটা হলেও ছায়া সেখানে। কিন্তু বেলা বাড়তেই সূর্য যে মাথার ওপরে। রোদে অনেকেরই মাথা ব্যথা হতে শুরু করে।

দু’দফায় মোট ৪ ঘণ্টা ক্লাস হবে। চার ঘণ্টা এইভাবে কড়া রোদে বসে থাকলে, শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন অভিভাবকরা। তেমনটাই হয়েছে। অনেক খুদেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক অভিভাবক বলেন, “এইভাবে রোদের মধ্যে কীভাবে ক্লাস করতে পারবে। খোলামেলা কতদিনই বা ক্লাস করবে? ওরা তো এইভাবে অভ্যস্তও নয়। বাচ্চারা মন বসাতে পারবে না পড়াশোনায়।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাড়ায় শিক্ষালয় নিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, মূলত যে শিশুরা এখনও করোনা টিকার ডোজ় নেয়নি, তাদের পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়ে অংশ নিতে হবে। বৃষ্টির দিনে এই ক্লাস করা যাবে না। ক্লাস করানোর জন্য বড় জায়গা বেছে নিতে হবে। বড় জায়গা না থাকলে গাছের তলায় পাড়ায় শিক্ষালয় হবে। কিন্তু এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সব জায়গায় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ করছেন অভিভাবকরা।

প্রশ্ন উঠছে, স্কুল থাকতে কেন পাড়ায় ক্লাস? সরকারের বক্তব্য, কোভিড বিধিকে মান্যতা দিয়ে যাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা যায়, তার জন্য এই উদ্যোগ। কিন্তু অভিভাবকদের বক্তব্য, ক্লাস হোক, খুশি হবে পড়ুয়ারাও। কিন্তু এই পরিবেশে ক্লাস করতে গিয়ে অসুস্থ হবে খুদেরাই। সেটা ভাবতে হবে সরকারকে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা