Mamata Banerjee: নোনা মাটিতেও ‘সোনা’ চাষ, কীভাবে হল, অসাধ্য সাধনের কাহিনি শোনালেন মমতা
Mamata Banerjee: কোটালের সময় সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলির মানুষের মনে সর্বক্ষণ এক ভয় থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি বড় চিন্তা হল সমুদ্রের নোনা জল চাষের জমিতে ঢুকে যাওয়ার উদ্বেগ। কিন্তু সেই সমস্যা দূর করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ফলও পাচ্ছে সুন্দরবনবাসী। সেই কাহিনিই আজ শোনালেন মমতা।

চালসা: উত্তরবঙ্গের চা বাগানের সঙ্গে এবার দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনকে জুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চালসায় চা শ্রমিকদের চাষের ক্ষেত্রে পোকামাকড়ের সমস্যার কথা জানাচ্ছিলেন মমতা। ভোট পর্ব মিটে গেলে সেখানে পোকামাকড়ের সমস্যা দূর করতে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করা রিসার্চের আশ্বাস দেন তিনি। সেই সময়েই মমতার মুখে উঠে আসে সুন্দরবনের কথা। সুন্দরবনের নোনা জল ঢুকে যাওয়া এলাকায় ধান চাষের ক্ষেত্রে আগে কী সমস্যা হত, এবং মমতার উদ্য়োগে সেখানে কী পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেকথাও তুলে ধরেন তিনি।
কোটালের সময় সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলির মানুষের মনে সর্বক্ষণ এক ভয় থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি বড় চিন্তা হল সমুদ্রের নোনা জল চাষের জমিতে ঢুকে যাওয়ার উদ্বেগ। কিন্তু সেই সমস্যা দূর করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ফলও পাচ্ছে সুন্দরবনবাসী। মমতা বললেন, ‘সুন্দরবনে আগে যখন বন্যা হত, নোনা জলে সব ধান নষ্ট হয়ে যেত। আমরা তখন গবেষকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করেছিলাম। যে ধান নোনা জলে নষ্ট হয়ে যেত, সেই ধানকে আমরা এখন স্বর্ণধানে পরিণত করেছি। সেটা এখন দারুণ ভাল ধান হচ্ছে।’ সেরকম চা চাষের ক্ষেত্রে পোকামাকড়ের সমস্যা দূর করতে ভোটের পর বিজ্ঞানীদের নিয়ে গবেষণা করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবন কোটালের চিন্তা তো থাকেই, তার উপর যদি কোনও ঝড়-ঝঞ্ঝার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাতে দুশ্চিন্তা আরও বাড়ে সুন্দরবনবাসীর। তবে এখন সুন্দরবনবাসী এক বিশেষ ধরনের ধানের বীজের চাষ করেন। যার নাম ‘নোনা স্বর্ণ’। এই ধান নোনা মাটিতেও চাষ করা যায়।





