Maynaguri Chaos: দোকান খুলে বসেছিলেন বৃদ্ধা, হঠাৎ হাজির ৪ তৃণমূল নেতা, পরের ঘটনা মর্মান্তিক!
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির পেটকাটি মোড়। সেখানেই এলাকার বাসিন্দা রেবা দত্ত সরাকারি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে নিজের একটি মুদিখানা দোকান চালিয়ে আসছেন।
ময়ানাগুড়ি: বয়স প্রায় সত্তরের কাছাকাছি হবে। সম্বল বলতে একখানা দোকান। সেই দোকান চালিয়েই ভরে পেট। কিন্তু বৃদ্ধার সেই দোকানেও নজর একদল রাজনৈতিক নেতার। দীর্ঘদিন ধরেই তারা সেই দোকান দখল করতে চাইছিল বলে অভিযোগ। আর তা পেরেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল ওই বৃদ্ধার সঙ্গে। তোলাবাজি ও জমি দখল করতে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। মারধরের সময় তাঁর ছেলে বাঁচাতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে খবর মিলেছে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির পেটকাটি মোড়। সেখানেই এলাকার বাসিন্দা রেবা দত্ত সরাকারি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে নিজের একটি মুদিখানা দোকান চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি ওই মহিলাকে সেই জমি থেকে উৎখাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে এলাকারই কয়েকজন মানুষ। যারা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত।
এবার শনিবারও যথারীতি নিজের দোকান খুলে বসেছিলেন বৃদ্ধা। কিন্তু সন্ধে নাগাদ ঘটল বিপত্তি। অভিযোগ, রেবা দত্তের দোকানে চড়াও হয় এন্তাজুল হক,মন্তাজুল হক, এক্রামুল হক ও মাসকিলা হক সহ আরও কয়েকজন। তারা হঠাৎই বয়স্ক ওই মহিলার উপর লাঠি, রড দিয়ে হামলা চালায় বলে সূত্রের খবর।রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধা মাটিতে বসে পড়লে মা বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর ছেলে ও কয়েকজন বন্ধুরা। তখন অভিযুক্ত ওই চারজন বৃদ্ধার ছেলে ও তাঁর বন্ধুদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনায় থমথমে হয়ে যায় পেটকাটি মোড় এলাকা। খর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। প্রত্যেককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।বয়স্ক মানুষকে মারধরের ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেন পুলিশ আধিকারিকেরা। শুরু হয় পুলিশের টহলদারি।
এদিকে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দাবিতে সরব হন ময়নাগুড়ির বিজেপি। এক বিজেপি নেতা বলেন, “গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। কোনও দলের রঙ না দেখেই যেন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়।”
গোটা ঘটনায় এলাকায় বসান হয় পুলিশ পিকেটও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিত লামা।
আরও পড়ুন: Santipur Police Station: প্রিজন ভ্যান নয়, আসামিদের অটো করে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ!