Dhupguri: অ্যাডিনো উপসর্গ নিয়ে হাজারের বেশি শিশু হাসপাতালে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

Adenovirus: ধূপগুড়ি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা।

Dhupguri: অ্যাডিনো উপসর্গ নিয়ে হাজারের বেশি শিশু হাসপাতালে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা
হাসপাতালের বাইরে লম্বা লাইন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 4:06 PM

ধূপগুড়ি: আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষা বলছে অ্যাডিনোর প্রকোপের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আজও কলকাতার বি সি রায় হাসপাতাল থেকে ৪ জন শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তবে তাদের জ্বর-শ্বাসকষ্টের জেরে মৃত্যু হয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ির চিত্রটাও এক। সেখানে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। ধূপগুড়ি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা।

হাসপাতালে গেলে দেখা যাচ্ছে, বাইরে রয়েছে শিশুদের লম্বা লাইন। বহির্বিভাগ থেকে জরুরি বিভাগ সর্বত্র শিশুরোগীর সংখ্যাই বেশি। যার ফলে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতরও। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগী আসছেন প্রায় আটশো থেকে হাজার জন। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের এমনটাই দাবি। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। ভাইরাল ফিভারের পাশাপাশি অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়েও শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যাঁরা মুমূর্ষু রোগী তাদেরকে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হচ্ছে জলপাইগুড়িতে।

এ দিকে, ভাইরাস রোধে সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে বাইরে থেকে এসে সরাসরি শিশুদের সংস্পর্শে না আসতে, শিশুদের স্পর্শ করার আগে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে অ্যাডিনো ভাইরাসের রোগীদের জন্য আলাদা কোনও বিভাগ খোলা হয়নি এখানে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রণয় দাস বলেন, “আমরা বারংবার সচেতন করার চেষ্টা করেছি। মূলত বাচ্চাদেরই হচ্ছে এই জ্বর। অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুও রয়েছেন। প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ জন আসছে।”

প্রসঙ্গত, নাইসেডের সমীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিনোর কবলে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে প্রথমেই বাংলা। অ্যাডিনো আক্রান্ত ৩৮ শতাংশ। তামিলনাড়ু ১৯ শতাংশ। কেরল ১৩ শতাংশ। দিল্লি ১১ শতাংশ। মহারাষ্ট্র ৫ শতাংশ। কেন্দ্রের সমীক্ষার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্ক হওয়ারও কিছু নেই। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।