মালবাজার: এখনও শীতের কাঁপন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে ভোটের উত্তাপে উষ্ণতার পারদ চড়ছে জেলায় জেলায়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় (Municipal Elections 2022) ভোট। এই ভোট ঘিরে বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠছে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ আসছে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে। মালবাজারে বিজেপির পোস্টার, ফ্লেক্স ছেড়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকজন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তাদের প্রচারে এভাবে বাধা দিচ্ছে। পাল্টা তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই হওয়া গরম হচ্ছে ডুয়ার্সের মালবাজার। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হচ্ছে এলাকা। কোথাও অভিযোগ উঠছে পোস্টার, ফ্লেক্স ছেড়ার। কোথাও আবার পতাকা ছিড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে বিরোধী শিবির। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা ঘিরে সরগরম পুরএলাকা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই নিয়ে মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মালবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী বর্ণালী শা দাসের সমর্থনে দলীয় পোস্টার, ফেস্টুন, পতাকা লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে তা নষ্ট করে দেয়। ছিড়ে মাটিতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরই বিজেপি প্রার্থী মাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শনিবার বর্ণালী শা দাস জানান, “প্রচারের জন্য আমি বেশ কিছু ফ্লেক্স ও পতাকা ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়েছিলাম। আজ দেখছি কে বা কারা পতাকা ফ্লেক্স ছিড়ে ড্রেনে ফেলে দিয়েছে। আমার মনে হয় নির্বাচনে হারবে বলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। সেই ভয় থেকেই তৃণমূলের লোকেরা এই কাজ করেছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”
বর্ণালী শা দাসের জবাবের পাল্টা ওই ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সরিতা গিরি বলেন, এসব অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী এ কাজ করবেন না। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। আর বিজেপিকে ভয় পাওয়ার থেকে হাস্যকর কী বা থাকতে পারে। আসলে বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই। লোকজন নেই প্রচারের। ওরা এসব কথা বলে প্রচারের আলোয় উঠে আসার চেষ্টা করছে। তবে এতে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূল এখানে জিতবে এবং বোর্ড গঠন করবে বলেই দাবি করেন তৃণমূলের প্রার্থী।