জলপাইগুড়ি: ভোট পরবর্তী হিংসায় শীতলকুচি থেকে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল মাথাভাঙা আদালত । কোচবিহার জেলায় ভোট -পরবর্তী হিংসা মামলায় দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সহ ৫ জনকে শুক্রবার মাথাভাঙ্গা এসিজিএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি ব্লকের সহ সভাপতি সায়ের আলি মিঞা ও পূর্ণ গোবিন্দ সিংহকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লকের সহ-সভাপতি সায়ের আলি মিঞা ও পূর্ণ গোবিন্দ বর্মনের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে তাঁদের দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করে কোচবিহারে গোপালপুরে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তাঁদের গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শীতলকুচির এই দুই নেতাকে সিবিআই নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠালেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেউই যান নি।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসায় বাড়ি , দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর থেকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে শীতলকুচি ব্লকে । আদালতের নির্দেশেই সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই । যদিও এবিষয়ে পুলিশ সিবিআইয়ের বিষয় বলে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘটনায় গত সোমবার হাইকোর্টে জমা পড়েছে তৃতীয় স্টেটাস রিপোর্ট। সিবিআইয়ের তরফে তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এই রিপোর্টে নতুন ১০ টি চার্জশিট, ১টি এফআইআর উল্লেখ করা হয়। দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর ভোট পরবর্তী হিংসার দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাতে উল্লেখ ছিল, ৫০ টি এফআইআর ইতিমধ্যেই রুজু হয়েছে। অক্টোবরে মুখবন্ধ খামে আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত চলছে পুরোদমে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি ধড়পাকড়ও চলছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করে সিবিআই।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এই মাসের শুরুতেই ২১টি ধর্ষণের অভিযোগ ফিরিয়ে দেয় সিবিআই। অভিযোগগুলির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন বা এনএইচআরসি (NHRC)-এর দাখিল করা রিপোর্টে এই অভিযোগগুলি ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ২১টি যৌন হেনস্তার অভিযোগের কথা। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তে এই অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
আরও পড়ুন: দায় কার? কেন চুপ দমকল-পুলিশ? দিঘার হোটেলের আগুন ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে, তবে সরস্বতী পুজোর দিনের জন্য রইল আবহাওয়াবিদদের বিশেষ বার্তা