AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘শতাব্দী আজ যাননি তো কি হয়েছে, কাল যাবেন, যেতে তো হবেই’

বিজেপি আত্মবিশ্বাসী, বীরভূমের তৃণমূল সাংসদও দলবদল করবেনই। ঘাসফুলের সাংসদ আসবেন পদ্মফুলেই, প্রত্যয়ী সায়ন্তন বসু।

‘শতাব্দী আজ যাননি তো কি হয়েছে, কাল যাবেন, যেতে তো হবেই’
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2021 | 2:58 PM
Share

জলপাইগুড়ি: একেই বলে প্রত্যয়! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বরফ যে গলেছে, তা আজ সকালেই নিজের ফ্যান পেজে সরাসরি জানিয়েছেন সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। শুক্রবার রাতের বৈঠকের পরই শনিবার ফলাও করে বীরভূমের সাংসদ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “সমস্যার কথা জানিয়েছি, শীঘ্রই সমাধান হবে।” একই সঙ্গে তাঁর দিল্লিযাত্রা এবং দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে শতাব্দী রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের ওপর নিজের আস্থার কথাও ব্যক্ত করেছেন। তিনি তৃণমূলে আছেন এবং তৃণমূলে থেকেই লড়বেন, স্পষ্ট করে দিয়েছেন শতাব্দী রায়। তবু এত কিছুর পরও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু আত্মবিশ্বাসী যে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ দলবদল করবেনই। ঘাসফুলের সাংসদ আসবেন পদ্মফুলেই, প্রত্যয়ী সায়ন্তন।

আজ শতাব্দী যখন সমাধান সূত্রের কথা জানিয়ে বিতর্কে যবনিকা টানার চেষ্টা করছেন, জলপাইগুড়িতে চা চক্রে উপস্থিত হয়ে সায়ন্তন বসু জানালেন, “আজ যাচ্ছেন না, কাল যাবেন। যাবেন তো বটেই।” কিন্তু, স্বয়ং শতাব্দী যখন জানিয়েছেন তিনি তৃণমূলেই আছেন, তখন সায়ন্তন কোন ভরসা থেকে একথা বলছেন? রাজ্য বিজেপির এই পরিচিত মুখের দাবি, তৃণমূলের অনেক নেতাই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সায়ন্তন বলেন, “দেখুনই না কী হয়। আমি তো আর জ্যোতিষী নই।”

আরও পড়ুন: ‘আমি বেসুরো নই, লক্ষ্মী-রাজীবকেও বলেছি মমতার সঙ্গে থেকেই লড়তে হবে’, সুর নরম প্রসূনের

প্রসঙ্গত, শতাব্দী জানিয়েছেন দলবদলেরও কোনও ভাবনা নেই। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ীই এদিন নিজের ফ্যান পেজ থেকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন শতাব্দী। সেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ওপর নিজের অগাধ আস্থার কথা ব্যক্ত করে লিখেছেন, “আমি যখন তৃণমূলে এসেছিলাম তখন সিঙ্গুর আন্দোলন চলছে। দল ক্ষমতায় নেই। কঠিন সন্ধিক্ষণ। শুধু দলকে ভালবেসে, মমতাদি-কে (বন্দ্যোপাধ্যায়) ভালবেসে এসেছিলাম। আজ আবার যখন বঙ্গ রাজনীতিতে সন্ধিক্ষণের কথা বলছেন অনেকে, তখন আমার দলের মঞ্চে থেকে লড়াই করব। কর্তব্য থেকে পিছিয়ে যাব না।” এই পোস্ট থেকেই জনগণের উদ্দেশে রাজ্যে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের ডাকও দিয়েছেন শতাব্দী রায়।

তিনি লিখেছেন, “এখন হাতে হাত থেকে রেখে লড়াইয়ের সময়। আসুন সবাই মিলে মমতাদির নেতৃত্বে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলার স্বার্থে কাজ করি।”

আরও পড়ুন: কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন রাজীব? তারিখ স্পষ্ট করলেন সৌমিত্র খাঁ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাঁর আস্থার কথা উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, “যেভাবে তরুণ নেতা আমার সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সমাধান করেছেন, আমি নিশ্চিত তিনি যথেষ্ট দায়িত্বশীল এবং পরিণত।”

তবে দলে কাজ করার ক্ষেত্রে তিনি যে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সে কথাও লুকিয়ে রাখেননি শতাব্দী রায়। দলীয় কর্মসূচিতে সাংসদকে দেখা যাচ্ছে না। এলাকার মানুষ তাঁকে প্রয়োজনে পাচ্ছেন না। এই অভিযোগই উঠেছিল শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে। যার প্রত্যুত্তরে ফেসবুকে পোস্ট করে সংঘাতের পথ খুলে দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সাংসদ। আজ নিজেই জানালেন, শীর্ষ নেতৃত্বকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন এবং তিনি আশাবাদী তা শীঘ্রই সমাধানও করা হবে।