Bikaner Guwahati Express accident: কেউ খুঁজছেন মানুষ, কেউ মেয়ের বিয়ের গয়না, ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাস্থলে দিশেহারা চোখের ভিড়!
Maynaguri: অসহায় সেই পরিবারের সদস্যরা দিশাহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থলে। হন্নে হয়ে কেউ খুঁজে চলেছেন মানুষ, কেউ অলঙ্কার।
ময়নাগুড়ি: ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর কেটে গিয়েছে দু’ দুটো দিন। এখনও ধাতস্থ হতে পারেননি স্বজনহারা মানুষরা। আহত বেশ কয়েকজন। গত বৃহস্পতিবার বিকানির গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের (Bikaner Guwahati Express train) দুর্ঘটনার পর এখনও নিখোঁজ অনেকে। কারও আবার খোয়া গিয়েছে মেয়ের বিয়ের সোনার গয়না। অসহায় সেই পরিবারের সদস্যরা দিশাহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুর্ঘটনাস্থলে। হন্নে হয়ে কেউ খুঁজে চলেছেন মানুষ, কেউ অলঙ্কার।
গত বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা হয় জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির দোহমনি এলাকায়। সেই দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে ৯ জনের। আহত হন ৪৩ জনেরও বেশি। তাঁদের কাউকে ভর্তি করা হয় ময়নাগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতাল, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতরা অনেকেই ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। আর ছাড়া পেয়েই তাঁরা ছুটেছেন দুর্ঘটনাস্থলে। কেউ খুঁজছেন জামাকাপড়-টাকাপয়সা রাখা ব্যাগটা, কেউ খুঁজছেন মেয়ের বিয়ের সোনার গয়না। সবই যা হারিয়েছেন বৃহস্পতিবারের সেই ট্রেন দুর্ঘটনায়।
সেদিন কেশবালা বর্মণ ও তাঁর ভাইপো -সহ ২২ জন বিকানির থেকে কোচবিহার ফিরছিলেন। এস ১৩ কম্পার্টমেন্টে ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি নিজে। আহত হন মেয়ে পিঙ্কি। পরিচিতরা সবাই সামান্য আহত হন। তবে এখন সুস্থ তিনি। সেদিন তাঁদের উদ্ধার করে গ্রামবাসী এবং প্রশাসনের লোকেরা ভর্তি করেছিল হাসপাতালে। জ্ঞান ফিরতেই পরিকজনদের খোঁজ শুরু করেন। সকলে সুস্থ থাকলেও একজনকে এখনও খুঁজে পাননি। বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেছেন। এমনকী এদিন দুর্ঘটনাস্থলের পাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ক্যাম্পে এসে খোঁজ করেন নিখোঁজ আত্মীয়ের। ১৭ বছর বয়সী সম্রাট যেমন নিখোঁজ, তেমনি হারানো সরঞ্জামের জন্য দুশ্চিন্তায় কেশবালা।
কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত দোমুখা এলাকার বাসিন্দা কেশবালা বর্মণের কথায়, “আমরা ২২ জন ট্রেনে করে ফিরছিলাম। একজন নিখোঁজ তাকে খুঁজতে এখানে এসেছি। আমরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। ছুটি পেয়েই ঘটনাস্থলে এসেছি তাকে খোঁজার জন্য।” দিনভর এদিক ওদিক ছুটে নিরাশার সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। বলেন, “জানি না সে মরে গেছে না, বেঁচে আছে। তবে তার তো খোঁজ আমাদের নিতে হবে, তাই এসেছি। আধিকারিকরা এখনও ওর সম্পর্কে কোনও তথ্য আমাদের দিতে পারেনি।”
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের আরেক যাত্রী সাবিত্রী বর্মণের কথায়, “আমি বিকানিরে কাজ করতে গিয়েছিলাম। মাঘ মাসে মেয়ের বিয়ে। সোনার গয়না কিনে বাড়ি ফিরছিলাম। দুর্ঘটনায় চোখের সামনে অনেককে মরতে দেখলাম…” একটু থেমে আবার তিনি যোগ করেন, “জামা-কাপড়, মেয়ের বিয়ের সোনার গয়না সব হারিয়ে গিয়েছে। খুঁজে পাচ্ছি না। কী করব কিচ্ছু ভেবে পাচ্ছি না”।
যদিও দুর্ঘটনায় আহত পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রেল দফতর। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর আমি সমস্ত হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন রেলের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Crime: ‘সেক্স টয়’ কিনতে চেয়েছিলেন জলপাইগুড়ির শিক্ষক, ৩৭ লাখ টাকা খরচ করার পর জানলেন…