Sukanta Majumder: ‘বকলমে কি অভিষেক সরকার চালাচ্ছেন?’

BJP: বৃহস্পতিবারই গোয়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, সেখানে তৃণমূলে যোগদানকারী নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কিছু প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে।

Sukanta Majumder: 'বকলমে কি অভিষেক সরকার চালাচ্ছেন?'
অভিষেককে নিশানা সুকান্তর, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2021 | 1:31 PM

জলপাইগুড়ি: বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরেই রীতিমতো ‘অ্যাক্টিভ’ ফর্মে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ইতিমধ্য়েই বঙ্গে জুড়ে সফর করছেন তরুণ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বুধবার জলপাইগুড়িতে বিজেপির কর্মী সভায় এসে দলের প্রশাসনিক বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার পরেই সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন  সুকান্ত।

এদিন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সরাসরি  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অভিষেক তো মন্ত্রী নন। সাধারণ সাংসদ। তাও নিজের এলাকায় তাঁকে দেখা যায় না। মোটে চারটে কেন্দ্রে উপনির্বাচন, সেখানে কপ্টারে করে পৌঁছতে হচ্ছে তাঁকে! এত ব্যস্ত থাকেন তিনি? তাহলে কি বকলমে অভিষেকই সরকার চালাচ্ছেন? সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি কি অভিষেকের হাত থেকেই আদানপ্রদান হয়? জনগণকে তো উত্তর দিতে হবে। আমরা তো রাজনৈতিক নেতা। আমাদের  সবকিছু তো স্বচ্ছ হওয়া উচিত।”

এখানেই না থেমে সুকান্ত আরও বলেন, “কপ্টারে চড়ে আসার টাকা পান কী করে অভিষেক? এই এত এত টাকার গোলমাল করেই কি কপ্টারের টাকা আসে! সামান্য উপনির্বাচন, আমরা তো ট্রেনে যাতায়াত করি। আর ওঁ ট্রেনে আসতে পারেন না!” এরপর সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, গোয়া যাচ্ছেন যান। আরও জায়গায় যান। গিয়ে দেখে আসুন, বিরোধীদের সঙ্গে কী আচরণ করতে হয়। আপনার গণতন্ত্রটা শেখা জরুরি। এখানে তো মনোননয়নও জমা দিতে দেওয়া হয় না। আমি আমার দলের বিধায়ক-সাংসদ-কর্মীদের বলেছি, গণতন্ত্রের নিয়ম না মানলে জোট বেঁধে এগিয়ে যান। মনোনয়ন জমা দিন।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই গোয়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, সেখানে তৃণমূলে যোগদানকারী নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কিছু প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। তারপর একটি সাংবাদিক বৈঠক ও সভাও করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি, মুখ্য়মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই কয়েকজন অন্য দলের নেতার তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে সৈকতনগরে দলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতেই এই সফর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ।

প্রসঙ্গত, বঙ্গে উপনির্বাচন মিটলে অন্যান্য বকেয়া নির্বাচন মিটতে পারে এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে উপনির্বাচন মেটার পর বাকি থাকা নির্বাচন হল পুরভোট। সেই পুরভোটের প্রস্তুতি নিতে ধীরে ধীরে ঘর গোছাচ্ছে পদ্ম শিবির এমনটাই এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অন্য়দিকে, আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটায় উপনির্বাচন। সেখানে রীতিমতোই উত্তপ্ত পরিস্থিতি। প্রচারে হোক বা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময়েই দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘ত্রিপুরায় জিতব, গোয়াতেও, গুন্ডামি করলে দল থেকে বের করে দেব’