Tea Price decrease: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ভারতে কমতে পারে চায়ের দাম
Russia-Ukraine Conflict: ভারত থেকে বিদেশে যে পরিমাণ চা রফতানি হয়ে থাকে তার প্রায় চল্লিশ শতাংশ যায় রাশিয়া, ইউক্রেন সহ সিআইএস দেশগুলিতে। সেই কারণে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে চা রফতানি এমনটাই খবর।
জলপাইগুড়ি: শুরু হয়ে গিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia-Ukraine Conflict) যুদ্ধ। আর তার প্রভাব যে ভারত তথা এই রাজ্যেও পড়তে চলছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে যেমন এ রাজ্যের পড়ুয়াদের সেখানে আটকে থাকার খবর মিলেছে ঠিক তেমনই রাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর যে যুদ্ধের প্রভাব পড়বে তা আশঙ্কা করাই হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়বে চা শিল্পে। টিভি ৯ বাংলার কাছে অন্তত তেমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ বণিক মহল।
সূত্রের খবর, ভারত থেকে বিদেশে যে পরিমাণ চা রফতানি হয়ে থাকে তার প্রায় চল্লিশ শতাংশ যায় রাশিয়া, ইউক্রেন সহ সিআইএস দেশগুলিতে। সেই কারণে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে চা রফতানি এমনটাই খবর। টিভি ৯ বাংলার কাছে এমই আশঙ্কার কথা জানালেন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী।
রাশিয়ার মোট চায়ের বাজার বছরে ২৪০ মিলিয়ন কেজির। ১৯৯২ সালের আগে পর্যন্ত এই পুরো চা ভারত রফতানি করত। ১৯৯২ সালের রাশি ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। এরপর রুবেল ও রুপি নিয়ে সমস্যার জেরে সেই দেশে প্রবেশ করে শ্রীলঙ্কা ও কেনিয়ার চা। ফলে প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে ভারতীয় চা। রফতানি ব্যাপকভাবে কমে যায়।
২০২০ সালে ভারতে মোট চা উৎপাদন হয় ১ হাজার ২৫৭ মিলিয়ন কেজি। যার মধ্যে বিভিন্ন দেশে রফতানি হয় ২০২ মিলিয়ন কেজি। ২০২ মিলিয়ন কেজির মধ্যে রাশিয়া, ইউক্রেন সহ সিআইএস দেশগুলিতে রফতানি হয় ৬০ মিলিয়ন কেজি।
২০২১ সালে ভারতে মোট চা উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৩২৯ মিলিয়ন কেজি। রফতানি হয় ১৯৫ মিলিয়ন কেজি। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রাশিয়া,ইউক্রেন সহ সিআইএস দেশগুলিতে চা রফতানি হয়েছিল ৩১.৮৭ মিলিয়ন কেজি।
গত ২০২০ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনে যেই চা রফতানি হয়েছিল তার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা।২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ইউক্রেন ও রাশিয়াতে যেই পরিমাণ চা রফতানি হয়েছিল তার বাজার মূল্য ৫৯৫ কোটি টাকা।
এদিন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স এসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “একেই করোনা আবহে আমাদের পরিস্থিতি খারাপ ছিল। তার উপর আবহাওয়ার খামখেয়ালি পনায় ইতিমধ্যে ফার্স্ট ফ্ল্যাশে প্রভাব ফেলেছে। তার উপর এই যুদ্ধ আমাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল। কারণ রাশিয়া ইউক্রেন সহ সি আই এস দেশ গুলি ভারতীয় চায়ের একটা বড় অংশের ক্রেতা ছিল। আমাদের এখানকার অনেক চা কোম্পানির অফিস রয়েছে রাশিয়া বা ইউক্রেনে। যুদ্ধের ফলে রফতানি বানিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এমনটাই আশঙ্কা আমাদের। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। প্রয়োজনে কেন্দ্রের দারস্থ হব আমরা।”
আরও পড়ুন: Basirhat Municpal Election: মহিলাদের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে পুরভোট জিততে মরিয়া তৃণমূল!