‘বাংলা ভাগ করবেন না,’ বিজেপি নেতার হাতে রাখি পরিয়ে করজোড়ে অনুরোধ তৃণমূল নেতার

Rakhi: পুলিশ কর্মীদের রাখী পরাতে যাচ্ছিলেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলার বিজেপি নেতা কর্মীরা। তাঁদের ডাক দেন তৃণমূল নেতা। খানিকটা বিস্মিত হয়েই দাঁড়িয়ে যান বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী ও অন্যান্য নেতা।

'বাংলা ভাগ করবেন না,' বিজেপি নেতার হাতে রাখি পরিয়ে করজোড়ে অনুরোধ তৃণমূল নেতার
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2021 | 6:05 PM

জলপাইগুড়ি: ফের উঠেছে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি। জন বার্লার দাবিকে কার্যত উত্তরবঙ্গ সফরে এসে কার্যত সমর্থন করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ফের শুরু চাপানউতোর। এই প্রেক্ষিতে ‘গান্ধীগিরি’ জেলার তৃণমূল নেতার। বিজেপি নেতার হাতে রাখি পরিয়ে তাঁর আবেদন, বাংলা হতে দেবেন না।

রবিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি থানা মোড় এলাকায় চলছিল তৃণমূলের রাখি বন্ধন কর্মসূচির অনুষ্ঠান। তার অন্যতম উদ্যোক্তা যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী। সর্বধর্ম ও সমস্ত জনজাতির মানুষকে নিয়ে এই রাখি বন্ধন কর্মসূচি করছিলেন তিনি। ঠিক তখনই মহিলা মোর্চার কর্মীদের নিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মীদের রাখী পরাতে যাচ্ছিলেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলার বিজেপি নেতা কর্মীরা। তাঁদের ডাক দেন তৃণমূল নেতা। খানিকটা বিস্মিত হয়েই দাঁড়িয়ে যান বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী ও অন্যান্য নেতা।

তারপর বিজেপি নেতা সহ অন্যান্যদের হাতে রাখি বেঁধে বঙ্গভঙ্গ রোধের জন্য করজোড়ে আবেদন করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতাকে। পালটা বিজেপির জেলা সহ সভাপিতিকে বলতে শোনা যায়, ‘আরে বাংলা ভাগ হবে না।’

যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, “আজ আমরা সর্ব ধর্মের মানুষের হাতে রাখি পরিয়ে শপথ নিলাম, আমরা কিছুতেই বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না।” আর বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী বলেন, “আমরা অখণ্ড ভারতে বিশ্বাস করি। তাই বাংলা ভাগেরও আমরা বিরোধিতা করি।” তবে তার পরও ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, “আজ আমাদের রাস্তায় পেয়ে তৃণমূল যা করল তা হল নিজেদের টিআরপি বাড়াবার চেষ্টা, আর কিছু না।”

উল্লেখ্য, বঙ্গভঙ্গ বিতর্কে এখন পৃথক সুর বঙ্গ বিজেপিতেই। দু’ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার দাবিকে কার্যত সমর্থন করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের প্রশ্ন তুলে দিলীপের দাবি, বাংলা ভাগ হলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আবার বার্লার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিও অন্যায্য বলে মনে করেন না তিনি। কিন্তু রাজ্য সভাপতির এই মতে সায় নেই রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের। প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবুর মন্তব্যকে ব্যক্তিগত বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে তৃণমূলের কটাক্ষ, ব্রিটিশের মতো বাংলায় ডিভাইড অ্যান্ড রুল চাইছে বিজেপি। আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ বিতর্কে পৃথক সুর বঙ্গ বিজেপিতে, দিলীপের মন্তব্য ‘ব্যক্তিগত’ বলছেন রাহুল-লকেট