Murder Case: বন্ধুকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী, অসম থেকে তুলে নিল পুলিশ
Jalpaiguri: গত ৪ জুন ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুর এলাকায় গৌতম রায় নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছিল গৌতমের বন্ধু পরিমল রায়ের বাড়ি থেকে। ঘটনার পর থেকে পরিমল রায় ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা রায় নিখোঁজ ছিলেন।

ময়নাগুড়ি: প্রিয় বন্ধুকে খুন। তারপর বাপের বাড়িতে আত্মগোপন। অবশেষে অসম পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার ময়নাগুড়ি ত্রিকোণ প্রেমে খুনের মাস্টারমাইন্ড মহিলা আততায়ী।
গত ৪ জুন ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুর এলাকায় গৌতম রায় নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছিল গৌতমের বন্ধু পরিমল রায়ের বাড়ি থেকে। ঘটনার পর থেকে পরিমল রায় ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা রায় নিখোঁজ ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পরিমল ও গৌতম দুই বন্ধু। দু’জনই ছোটবেলা বড় হয়েছেন এক সঙ্গে। পরে অসমে কাঠমিস্ত্রির কাজ করা শুরু করেন। এরপর পরিমল অসমের বাসিন্দা সঙ্গীতা দেবীকে বিয়ে করে।
দেহ উদ্ধারের তা সনাক্ত করার পর রাতে গৌতমের বাবা ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। অসমে যায় ময়নাগুড়ি থানার টিম। অসম পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার হয় গৌতম রায় খুনের মাস্টারমাইন্ড সঙ্গীতা রায়। যদিও তাঁর স্বামী পরিমল রায় এখনও পলাতক।
এ প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ জানিয়েছেন, ধৃতকে জেরা করে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে চার তারিখ রাতে পরিমলের বাড়িতে গৌতমের সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা বাধে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’জন। সেই সময় লাঠি দিয়ে পিছন থেকে গৌতমকে আঘাত করে পরিমলের স্ত্রী সঙ্গীতা রায়। গৌতম সেই বাড়িতে থাকা ধারাল অস্ত্র হাতে নিতেই পরিমলের স্ত্রী সেটা কেড়ে নেন। এরপর গৌতমের উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে একাধিক বার হামলা চালান পরিমলের স্ত্রী। ভোর হয়ে এলে তাদের বাড়িতেই পুঁতে দেওয়া হয় গৌতমের দেহ। গৌতমের বাইক পরিমল ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রেখে দিয়ে আসেন। এরপর চাবি, রেইনকোট সহ ধারালো অস্ত্র বাড়ি থেকে দূরে একটি চা বাগানে পুঁতে দেওয়া হয়। এরপর অভিযুক্তরা টোটো ভাড়া করে ময়নাগুড়ি চ্যাংরাবান্দা চলে যায়। সেখান থেকে বাসে করে কোচবিহার যায়।
পুলিশ আধিকারিক বলেন, “এরপর সেখান থেকে ট্রেনে করে অসমে গিয়ে আত্মগোপন করে থাকেন অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে আমাদের তদন্তকারী টিম অসম যায়। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় আমরা সঙ্গীতকে গ্রেফতার করে স্থানীয় আদালতে তুলে চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ড নেই। এরপর আজ তাকে ময়নাগুড়ি নিয়ে আসা হয়। তবে এখন পর্যন্ত পরিমল গ্রেফতার হয়নি। তার খোঁজ চলছে। ধৃতকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।”





