ধূপগুড়ি: মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো অন। তাতেই হচ্ছিছিল গোটা ঘটনার রেকর্ডিং। এক মহিলা খাটের উপর উঠে ওড়না ঝুলিয়ে তারপর…!
দীর্ঘদিন ধরেই বিবাহ বহির্ভূত ছিল। ফলে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি একদিকে যেমন হচ্ছিল, তেমনই বনিবনা হচ্ছিল না প্রেমিকের সঙ্গেও। এরপরই ভয়ানক সিদ্ধান্ত। আত্মঘাতী হওয়ার আগের মুহূর্ত ভিডিয়ো করে হোয়াটস অ্যাপে পাঠালেন প্রেমিককে। আর তারপর গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পরকীয়া সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণেই এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই গৃহবধূ।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। মৃত মহিলার নাম সীমা মজুমদার। শুক্রবার বিকেলে ধূপগুড়িতে নিজের বাড়ির দোতলা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক কালে সীমা দেবীর সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয় কলকাতার বাসিন্দা তুহিন সরকার নামে এক যুবকের। বছর বত্রিশের তুহিন পেশায়। এরপর ধীরে-ধীরে সীমাদেবী ও তুহিনবাবুর সম্পর্ক আরও গভীর হয়। গৃহবধূর পরিবারের দাবি অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে কলকাতায় তিনি প্রেমিকের সঙ্গে দেখাও করতে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, মৃতার স্বামীর জানিয়েছেন, ফোন নিয়ে সারাদিনই ব্যস্ত থাকত তাঁর স্ত্রী। ফলে সংসারে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর শুক্রবার আত্মহত্যা করার আগে নিজের ফোনে সেই ভিডিয়োটি করেন গৃহবধূ। পরে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে তা তুহিনকে পাঠান বলেও খবর। প্রাথমিকভাবে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা সেটি তদন্ত সাপেক্ষ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল জলপাইগুড়িতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মেয়েটির স্বামী বলেন, “আমি দুপুরে ভাত খেতে ডাকলাম। তখন বলল বাথরূমে যাচ্ছি। এসে খাব। তারপর উপরে চলে যায়। কিছুপরে দেখি এই অবস্থা। কয়েকদিন ধরে কলকাতার এক ছেলের সঙ্গে ওর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তারপর থেকে ঘরে আমার সঙ্গে ঠিক মতো কথাও বলত না। শুধু বলত প্রেমের সম্পর্ক নেই। বন্ধুত্ব। কিন্তু ওর সঙ্গে কথা না বললে ভালো লাগে না।”
আরও পড়ুন: Commit Suicide: শেষ করে দিচ্ছি নিজেকে, বলেই মোবাইল সুইচড অফ প্রেমিকের; কঠিন ‘শাস্তি’ পেল প্রেমিকা
আরও পড়ুন: Student Suicide: ‘নরকেই হয়ত ভাল জায়গা পাব…’, কোন ব্যর্থতায় নিজেকে শেষ করে দিল ক্লাস এইটের ছাত্র?