Maynaguri Death: সালিশি সভার নিদান, ‘বউকে’ দিতে হবে খোরপোশ, তারপর স্বামীর চরম পরিণতি
Maynaguri Death: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দশ মাস আগে ময়নাগুড়ির রাজারহাটের বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় ওই রাসায়নিক সারের ব্যবসায়ীর।
ময়নাগুড়ি: সালিশি সভার বিবাহবিচ্ছেদে নিদান ছিল মোটা টাকার খোরপোশ দিতে হবে স্ত্রীকে। তা মেনে অর্ধেক দেওয়ার পরেও নাকি মানসিক চাপ অব্যাহত ছিল স্ত্রীর বাপের বাড়ির তরফে। যার ফলে অবসাদে ভুগছিলেন ময়নাগুড়ির বার্নিশ দক্ষিণ পুটিয়ারির বাসিন্দা কম্বু বর্মণ। এরপর হঠাৎই মঙ্গলবার সকালে বন্ধ ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
ময়নাগুড়ির সার ব্যবসায়ীর এহেন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। কী কারণে তার মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের পরিবারের তরফে লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানীয়দের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দশ মাস আগে ময়নাগুড়ির রাজারহাটের বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় ওই রাসায়নিক সারের ব্যবসায়ীর। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তাঁর। ফলে মাঝেমধ্যেই দু’পক্ষের মধ্যে লেগে থাকত বিবাদ। শেষমেশ সেই সমস্যা নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামীণ সালিশি সভার ‘দরবারে’। সেখানে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় বিবাহ বিচ্ছেদের বদলে চার লক্ষ টাকার খোরপোষ দিতে হবে স্ত্রীকে। তা মেনে নিয়ে প্রথম পর্যায়ে দু’লক্ষ টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন কম্বু। কিন্তু বাকি টাকা আর দিতে পারছিলেন না অর্থাভাবে। অভিযোগ, প্রতিনিয়ত সেই বকেয়া টাকার জন্য মানসিক চাপ দেওয়া হত স্ত্রীর বাপের বাড়ির তরফে। যা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপরই মঙ্গলবার বেলায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় তার অচৈতন্য দেহ। অনেক ডাকাডাকি করার পরেও তার সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাঁকে।
এ বিষয়ে মৃতের দাদার রবীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘সালিশি সভায় বিবাহবিচ্ছেদ হয় আমার ভাইয়ের। এরপর খোরপোষের চার লক্ষ টাকার দুই লক্ষ টাকা দিয়েও দেয় কম্বু। কিন্তু বাকি টাকা না দিতে পারায় মেয়ের বাড়ির লোকজন ক্রমাগত মানসিক অত্যাচার চালাত। এই চাপেই মৃত্যু হতে পারে ভাইয়ের।’
যদিও, এই ঘটনায় এখনো কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি মৃতের পরিবার। ঘটনা প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি থানা আইসি তমাল দাস বলেন, টআমরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই তার ভিত্তিতে তদন্ত হবে।’
আরও পড়ুন: Mekliganj Chaos: গরু প্রতি ৩০০০ টাকা তোলা, তাও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নাম করে!