Elephant Attack: কোথাও রেশনের দোকানে লুঠ, পায়ের তলায় পিষে মারছে কাউকে! হাতির হানায় আতঙ্ক
একটি রেশনের দোকানে হানা দেয় ওই দাঁতাল। রেশনের দোকানে মজুত থাকা চাল খেয়ে নেয় ওই হাতিটি। পাশাপাশি শুঁড়ে করে আটার বস্তা নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ।
ঝাড়গ্রাম ও জলপাইগুড়ি: হাতির হানায় বিপর্যস্ত জঙ্গল লাগোয়া মানুষের জীবন। কোথাও রেশনের দোকানে ঢুকে লুঠপাট চালাচ্ছে হাতি। তো কোথাও হাতির হামলায় ধারাবাহিক ভাবে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির হামলায় মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত রয়েছে। গত সাত দিনে সেই জেলায় হাতির হানায় মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত ২ জন। এর পাশাপাশি প্রচুর বাড়িও ভাঙা পড়েছে হাতির হানায়। এর জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। হাতির হামলা ঠেকাতে বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্য দিকে জলপাইগুড়ি জেলায় বৈকণ্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া এলাকা থেকে একটি বুনো হাতি শুক্রবার রাতে ঢুকে পড়েছিল মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে একটি রেশনের দোকানে হানা দেয় ওই দাঁতাল। রেশনের দোকানে মজুত থাকা চাল খেয়ে নেয় ওই হাতিটি। পাশাপাশি শুঁড়ে করে আটার বস্তা নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ।
রেশন দোকান ভেঙে চাল খেয়ে আটা বোঝাই বস্তা নিয়ে পালালো বুনো দাঁতাল। শুক্রবার গভীর রাতে বৈকন্ঠপুর জঙ্গল ছেড়ে রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের গেট বাজার এলাকায় একটি রেশন দোকান ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরে একটি হাতি। প্রায় দু’ঘন্টায় ধরে সেখানে চলে তার তাণ্ডব। রেশনের দোকানে থাকা কয়েক বস্তা চাল ও আটা ‘লুঠ’ করে ওই হাতি। এরপর কয়েকটি বস্তা শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে চলে যায় জঙ্গলে। রেশন দোকানের পাশেই বাড়ি থাকায় তাণ্ডব চলাকালীন আওয়াজ পায় দোকান মালিক। এর পর তিনি খবর দেন বন দফতরে। খবর পেয়ে ছুটে আসে বনকর্মীরা। কিন্তু ততক্ষনে হাতি পালিয়ে গিয়েছে। অপর দিকে রেশন নিতে সাত সকালেই ভিড় জমিয়েছিল গ্রামের মানুষজন। তাঁদের অভিযোদ, এই এলাকায় হাতির হানা এখন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দিকে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির হামলায় মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত রয়েছে। গত সাত দিনে হাতির হামলায় আট জনের মৃত্যু হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। গত শনিবার থেকে হাতির হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম এলাকায় মৃত্যু হয় চারজনের। গতকাল বেলপাহাড়ি এলাকায় মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হয় দুজন। এক সপ্তাহে হাতির হামলায় আটজনের মৃত্যু। হাতির হামলা রুখতে বন দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন বফতর দাস সারছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে ওই সমস্ত এলাকার সাধারণ মানুশের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। শুধু প্রাণ হানির ঘটনা নয়, গত সাত দিনে প্রায় ৫৫টি মাটির বাড়ি ভেঙে দিয়েছে হাতির দল। সেই সঙ্গে তিনটি বাইক ও একটি প্রাইভেট গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এছাড়াও শতাধিক বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে হাতির দল। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।