Jhargram: সবে তখন শুরু হয়েছে ক্লাস, আচমকা হুড়মুড়িয়ে বেঞ্চ সমতে ৫ ফুট নিচে মাটিতে ঢুকে গেল ৪ পড়ুয়া
Jhargram: বেঞ্চে বসে থাকা ৪ ছাত্র গর্তে পড়ে যেতেই দ্রুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের উদ্ধার করে এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই চলে প্রাথমিক চিকিৎসা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ২০০৬ সালে বন্যায় স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ঝাড়গ্রাম: কখনও স্কুলে ভেঙে পড়ছে দেওয়াল, আবার কখনও ভেঙে পড়ছে ছাদের চাঙড়। এই খবরের ঘনঘটা তো ছিলই, কিন্তু তাই বলে ক্লাসরুমের মেঝেতে ধস! শুধু ধসই নয়, একেবারে হয়ে গেল ৫ ফুট বড় গর্ত। তাতেই পড়ে গেল ৪ পড়ুয়া। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার নিচু পাতিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বুধবার সকালে স্কুল ভর্তি ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এরই মধ্যে হঠাৎ করে একটি ক্লাসরুমের একাংশ বসে গিয়ে মাটির তলায় ঢুকে যায়। বেঞ্চ সমেত গর্তে ঢুকে যায় পড়ুয়ারা। শোরগোল পড়ে যায় গোটা স্কুলে। খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।
বেঞ্চে বসে থাকা ৪ ছাত্র গর্তে পড়ে যেতেই দ্রুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের উদ্ধার করে এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই চলে প্রাথমিক চিকিৎসা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ২০০৬ সালে বন্যায় স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সুবর্ণরেখা নদীর ৫০০ মিটারের মধ্যে আছে এই স্কুল। সম্ভবত নিচের মাটি হালকা হয়ে যাওয়ার জন্যই এই ধ্বস বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে ঘটনার পরেই খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কথা বলা হচ্ছে স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি পড়ুয়াদের সঙ্গেও।
স্কুলের শিক্ষক অনুকূল কুমার বেরা। বলছেন, “এগারোটায় ক্লাস শুরু হয়েছিল। আর ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ক্লাসে একটা বেঞ্চে ৪ জন ছাত্র বসেছিল। দেখা যায় আচমকা চার ছাত্র বেঞ্চ সমতে মাটির নিচে চলে যায়। দেখা মাত্রই আমাদের শিক্ষকেরা ছুটে যান। গ্রামবাসীরাও ছুটে আসেন। ওদের তোলা হয়। ২ জন আহত হয়েছে।” এদিকে স্কুলের এই অবস্থা দেখে হতবাক অভিভাবকেরাও। ভয় সকলের মনেই। স্কুলের এই অবস্থা থাকলে কী করে পড়ুয়াদের পড়তে পাঠাবেন তা ভেবেই মাথায় হাত সকলের।