Jhargram Mini Zoo: তুমি যে এখানে কে তা জানত! খোঁজ মিলল ‘পলাতক’ চিতাবাঘের

Jhargram: ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়ে যায় চিতাবাঘটি।

Jhargram Mini Zoo: তুমি যে এখানে কে তা জানত! খোঁজ মিলল 'পলাতক' চিতাবাঘের
ঘাপটি মেরে চিড়িয়াখানা চত্বরেই বসে ছিল চিতাবাঘটি। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 12:18 PM

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে অবশেষে খোঁজ মিলল চিতাবাঘের। ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানার (Jhargram Deer Park) পূর্ণবয়স্ক চিতাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। যে খাঁচায় থাকত, সেখান থেকেই পালিয়ে যায় সে। এ খবর সামনে আসতেই কার্যত আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যায় ঝাড়গ্রামবাসীর। অবশেষে খোঁজ মিলল তার। কোথাও যায়নি বাঘ বাবাজী। ঘাপটি মেরে চিড়িয়াখানা চত্বরেই বসে ছিল সে।

ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বেরিয়ে যায় পূর্ণবয়স্ক চিতাটি। খবর জানাজানি হতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহর জুড়ে। পুজোর বাজারের জন্য রাস্তায় ভিড়। তারইমধ্যে বাঘের ভয়ে রীতিমতো ছোটাছুটি পড়ে যায়। সকলেরই ভয়, বুঝি বাঘের পেটেই জান গেল! রাস্তায় রাস্তায় মাইকিংও শুরু হয়।

ঝাড়গ্রাম মিনি জু-তে দু’টি চিতাবাঘ রয়েছে। বৃহস্পতিবার গেট মেরামতির কাজ চলাকালীন একটি চিতাবাঘ পালিয়ে যায় বলে সূত্রের খবর। তার পর থেকে এলাকায় মাইকিং শুরু হয়। মানুষকে সতর্ক করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই চিতাবাঘের নিখোঁজ হওয়ার খবরে আতঙ্কে ছিলেন এলাকার মানুষ। অবশেষে তার খোঁজ মিলল। চিড়িয়াখানা চত্বরেই সে লুকিয়ে ছিল বলে চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে গোটা ঝাড়গ্রাম শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। কোথায় যেতে পারে এই পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘটি তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মীরাও। সাধারণত যে সমস্ত বাঘ এনক্লোজারে থাকে, দীর্ঘদিন খাঁচা বন্দি থাকার ফলে তারা সে ভাবে পালানোর চেষ্টা করে না। এই চিতাবাঘটি আবার বয়স্ক। তাই খুব বেশি দূর যেতে পারে বলে মনে করছিলেন না সেখানকার কর্মীরা। তবু একটা উদ্বেগ ছিলই।

শুক্রবার সকাল থেকে ফের ওই চিতাবাঘের খোঁজ শুরু হয়। বনদফতরের কর্মী ও চিড়িয়াখানার কর্মীরা মিনি জু চত্বরে বাঘটিকে খুঁজতে শুরু করে। এরপরই দেখা যায়, এনক্লোজার থেকে চিতাবাঘটি পালালেও জু চত্বরের মধ্যেই সে রয়েছে। লুকিয়ে চুপটি করে বসে ছিল সে। এরপরই তাকে আবারও খাঁচায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

একেবার ঝাড়গ্রাম শহরের খুব গায়ে গায়ে রয়েছে কলাবনির জঙ্গল, ইন্দাবনির জঙ্গল। ফলে মানুষের মধ্যে ভয়টা অনেক বেশি কাজ করছিল। আশেপাশের জঙ্গলে ঢুকে গেলে বড় কোনও বিপদের সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে। এই চিতাবাঘের খোঁজ পাওয়ায় শুধু ঝাড়গ্রামের সাধারণ মানুষই নন, নিশ্চিন্ত জেলা প্রশাসনও। মিনি জু-এর পাশেই দক্ষিণ সোল, বীরভানপুর, কাঞ্চননগর-সহ একাধিক এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিনিদ্র রাত কেটেছে এখানকার মানুষের। এদিকে সে যে তখন ঘরেই বসে, কে তা জানত!

আরও পড়ুন: Kolkata Metro: দুর্গাপুজোয় বাড়ছে মেট্রো, সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীতে সময়সীমাতেও ছাড়

আরও পড়ুন: Sabyasachi Dutta: পদ, টিকিট কী দেয়নি বিজেপি! সব্যসাচীর ‘ঘর ওয়াপসি’র পরই তোপ দিলীপের

আরও পড়ুন: COVID-19: করোনা ও তার দুই দোসরই উৎসবের মরসুমে চিন্তার কারণ নবান্নের