COVID-19: করোনা ও তার দুই দোসরই উৎসবের মরসুমে চিন্তার কারণ নবান্নের
Dengue: দু' সপ্তাহ ধরে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুও। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনাতেও ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি।
কলকাতা: উৎসবের মরসুম নিয়ে একটা উদ্বেগ রয়েছে। দুয়ারে উৎসব, শিয়রে করোনা (Covid-19)! ধীরে ধীরে সেই আতঙ্কই জোরাল হচ্ছে। ফের রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে তা নিয়ে উদ্বেগও শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যসচিবের গলায়। একই সঙ্গে নবান্নকে ভাবাচ্ছে ম্যালেরিয়া (Malaria), ডেঙ্গুর (Dengue) প্রকোপও। এদিন জেলাগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকও করেন মুখ্যসচিব।
কয়েকটি জেলায় ফের করোনা বাড়ছে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। গত দু’ সপ্তাহ ধরে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুও। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনাতেও ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। এই প্রথম বাঁকুড়াতেও ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।
অন্যদিকে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। নবান্ন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে একাধিক জেলা প্রশাসনকে মুখ্যসচিবের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পুজোর সময় কোনও ভাবেই যাতে নিয়ম শিথিল না করা হয় সে প্রসঙ্গে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুজোর জন্য যে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, তাও মানতেই হবে। তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা জেলাগুলিকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা লাগোয়া পুর এলাকাগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। এখানেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যে কোভিড-বুলেটিন প্রকাশ করেছে, সেখানে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৭৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৭,৫৯৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৮.৩২ শতাংশ। একদিনে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এখানে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫৫ জন। মারা গিয়েছেন একজন। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নাম। এখানে একদিনে সংক্রমিত ১৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত ৫৯। তবে এ জেলায় মৃতের সংখ্যা দুই। হুগলিতে একদিনে সংক্রমিত ৬১ জন। এখানেও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে একদিনে। হাওড়া ও নদিয়ার একদিনের সংক্রমণও উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে গত কয়েকদিনে বৃষ্টি হয়েছে প্রবল। বাড়ির আনাচে কানাচে, পথেঘাটে জল জমেছে। এই জমা জল মানেই মশার পৌষমাস। সর্বনাশ সাধারণ মানুষের। শহরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছর করোনারা প্রকোপের মাঝে ডেঙ্গি জ্বর খুব বেশি ছড়ায়নি। গত বছর এত বেশি বৃষ্টিও হয়নি। ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ হওয়ার কারণে জমা জলে ডেঙ্গুর মশা জন্ম নেয় সবথেকে বেশি। ঠিক যে কারণে ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য জল যাতে কোথাও না জমে সে দিকে নজর দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: EarthQuake: পুজোর শুরুতেই ভূমিকম্পের ধাক্কা বঙ্গে, মধ্যরাতে কেঁপে উঠল একাধিক জেলা