Sabyasachi Dutta: ‘ঘরওয়াপসি’ হতেই দাবি উঠল সব্যসাচীকে মেয়র করার
Sabyasachi Dutta: রাতে সল্টলেকের নিজের বাসভবনে উপস্থিত হন তিনি। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর অনুগামী। তাঁকে দেখা মাত্রই শুরু হয় স্লোগান। শুরু হয় আবির খেলা।
কলকাতা: তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা চলছিল আগে থেকেই। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই বলেছিলেন, ষষ্ঠীতেই হয়তো তৃণমূলে ফিরতে পারেন সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। তবে ষষ্ঠী হল না। তার আগেই তৃণমূলে (TMC) ফিরেছেন তিনি। আর রাতারাতি বদলে গেল রঙের খেলা। সল্টলেকে সব্যসাচী দত্তের বাড়ির সামনে বৃহস্পতিবার রাতে দেখা গেল অনুগামীদের ভিড়। তাঁরা স্লোগান তুললেন, “এলাকার বিধায়ক বা মেয়র হিসাবেই দাদাকে দেখতে চাই।”
সকালেই তৃণমূলে যোগ দেন সব্যসাচী দত্ত। রাতে সল্টলেকের নিজের বাসভবনে উপস্থিত হন তিনি। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর অনুগামী। তাঁকে দেখা মাত্রই শুরু হয় স্লোগান। শুরু হয় আবির খেলা। কয়েকদিন আগেও বাড়ির আশেপাশে যেখানে দেখা যেত গেরুয়া আবিরের ছিঁটে, এখন সেখানে ফের সবুজের ছোঁয়া।
ফুল মিষ্টির পাশাপাশি সবুজ আবিরে প্রিয় দাদাকে রাঙিয়ে দেন অনুগামীরা। সব্যসাচী দত্ত নিজে কিছু না বলতে চাইলেও অনুগামীরা এলাকার বিধায়ক বা মেয়র হিসাবেই তাঁকে দেখতে চায়। TV9 বাংলাকে সোজাসাপটা সেকথা জানালেন অনুগামীরাই।
ঠিক দু’বছর আগে ২০১৯ সালের পুজোর মুখেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু একুশের ভোট মিটতেই তাঁর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা বাড়ছিল। বুধবার লখিমপুরের ইস্যুতে মারাত্মকভাবে বিজেপির সমালোচনা করেন সব্যসাচী দত্ত। তাতে তাঁর দল ছাড়ার সম্ভাবনা আরও জোরাল হয়।
বৃহস্পতিবার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কের পদে শপথগ্রহণের কিছুক্ষণ পরই তাঁর ঘরে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে। যে সময় মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলছিল, তখনই খবর পাওয়া যায় যে সব্যসাচী বিধানসভায় এসেছেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসে ছিলেন সবস্যাচী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁকে দেখতে পেয়ে মারাত্মক উষ্মাপ্রকাশ করেন সব্য়সাচী বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। যার মধ্যে সুজিত বসু, তাপস চট্টোপাধ্যায়রা ছিলেন বলে খবর। তার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র।
যদিও সব্যসাচীকে তৃণমূল তাঁর আগের জায়গা ফিরিয়ে দেবে কি না এই নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, সব্যসাচীকে উত্তর-পূর্বে কোনও বড় দায়িত্ব দিতে পারে তৃণমূল। একই জল্পনা দীর্ঘ সময় ধরে রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও। এ বারও তিনি কবে ঘরে ফেরেন সে দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। যদিও সব্যসাচীর তৃণমূলে ফেরায় দলের অন্দরেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। কারণ দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক রেষারেষি রাজনৈতিক মহলে সুবিদিত। তবে দলীয় নেত্রীর সম্মতিই বিপুল বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর দলে ফেরার রাস্তা কার্যত মসৃণ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: ED Chemical Spices: ধনেতে মেশানো হচ্ছে সোনালি রঙ! ইডি-র জালে হাবরার ব্যবসায়ী