Jhargram: সামান্য ঠিকাদারি থেকে বালি-সম্রাট! সৌরভের বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়
Jhargram: সৌরভের স্ত্রী সঙ্গীতা রায় ও তাঁর ছেলের নামে যে কাগজ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এই নগদের উৎস কী? একজন সামান্য ঠিকাদার থেকে কীভাবে বালি ব্যবসার সম্রাট হয়ে উঠলেন সৌরভ, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

ঝাড়গ্রাম: মেদিনীপুরে বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতে টাকার পাহাড়। বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ৬৪ লক্ষ টাকা। সোমবারই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দিনভর চলে তল্লাশি। সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় টাকা গোনার মেশিন। তখনই অনুমান করা হচ্ছিল, এত বেশি পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে, যে টাকা গুনতে মেশিনের প্রয়োজন পড়ে। ইডি সূত্রে খবর, ৬৪ লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি তিনটি মোবাইল, বেশ কিছু কাগজপত্রও সিজ করে নিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা।
সৌরভের স্ত্রী সঙ্গীতা রায় ও তাঁর ছেলের নামে যে কাগজ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এই নগদের উৎস কী? একজন সামান্য ঠিকাদার থেকে কীভাবে বালি ব্যবসার সম্রাট হয়ে উঠলেন সৌরভ, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
সোমবারই একযোগে রাজ্যের ২২টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। ঝাড়গ্রামের যমুনাবালী এলাকায় সৌরভের প্রাসাদপম বাড়িতেও চলে দিনভর তল্লাশি। সূত্রের খবর, মেদিনীপুরে সৌরভের আসল বাড়ি হলেও, ঝাড়গ্রাম থেকে চলত তাঁর বালি খাদানের ব্যবসা। ঝাড়গ্রামের লালগড়ে তাঁর বিশাল বাংলো। স্থানীয় বাসিন্দারাও সৌরভের রকেট গতিতে এই উত্থান থেকে অবাক ছিলেন। তাঁদের মতে, বছর তিনেক আগেই সৌরভের অবস্থা একেবারেই সাধারণ ছিল। সামান্য ঠিকাদারি করে সংসার চলত তাঁর। কিন্তু তিন বছরের মধ্যেই কীভাবে সৌরভের ভাগ্যের চাকা ঘুরল, সেটাই রহস্যময়।
জানা যাচ্ছে, জাল সিও ব্যবহার করেই বালি পাচারের সম্রাট হয়ে উঠেছিলেন সৌরভ। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারাও সৌরভের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। কারণ নিত্য সৌরভের ওভারলোডিং গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায়, রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে যাচ্ছিল।
