Jhargram: গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যান পড়শিরা, বৌদি তখন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে, কুড়ুল হাতে দেওর…
Jhargram: সোমবার রাতে পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তি চরম আকার নেয়। অভিযুক্তের নাম রঞ্জিত পাতর। তিনি রাধারানির দেওর।অভিযোগ, তিনি তাঁর নিজের বৌদিকে কুড়ুল দিয়ে মাথায়, হাতে আঘাত করতে থাকে।

ঝাড়গ্রাম: প্রতিবেশীরা অনেকক্ষণ ধরেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি। কিন্তু পরে যখন গোঙানির শব্দ শুনতে পান, তখন শিউরে উঠলেন তাঁরা। মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে পাশের বাড়ির বউদি। মাথা থেকে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁকে বাঁচাতে ততক্ষণে ছুটে এসেছে মেয়ে-বউমা। তাঁরাও আক্রান্ত। কুড়ুল হাতে ততক্ষণে পালানোর চেষ্টা করছেন ওই মহিলার দেওর। ঝাড়গ্রামের বিনপুর থানার অন্তর্গত এড়গোদা অঞ্চলের ধুধুপাল গ্রামে ভয়ঙ্কর ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাধারানি পাতর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তি চরম আকার নেয়। অভিযুক্তের নাম রঞ্জিত পাতর। তিনি রাধারানির দেওর।অভিযোগ, তিনি তাঁর নিজের বৌদিকে কুড়ুল দিয়ে মাথায়, হাতে আঘাত করতে থাকে। সেই ঘটনা দেখে আহত মহিলার মেয়ে এবং বৌমা ছুটে গেলে তাঁদের মাথায় কুড়ুলের আঘাত করে। আটকাতে গেলে হাতেও কোপ মারে কুড়ুলের। লুটিয়ে পড়েন মেয়ে আর বৌমা। প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে তাঁদের দিকে কুড়ুল নিয়ে তেড়ে যান এবং প্রতিবেশী এক মহিলার হাতে মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। এরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান রঞ্জিত।
তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে মৃত রাধারানি-সহ আহত ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলদা প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা দেখার পর রাধারানি পাতরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের মেয়ে অঞ্জলি দাস, ছেলের বউ জয়িতা পাতর এবং প্রতিবেশী চম্পা সবর নামে ৩ জনকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশাল পুলিশ বাহিনী-সহ বিনপুর থানার আইসিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত রঞ্জিত পাতরকে অস্ত্র সমেত গ্রেফতার করে।

