Post Poll Violence: আদালতে ধাক্কা খেল CBI! নির্বাচন পরবর্তী হিংসার মামলায় ‘জামিন’ পাঁচ অভিযুক্তের
Post Poll Violence: এদিন বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাঁচ অভিযুক্তের কেউই কোচবিহার জেলায় ঢুকতে পারবেন না। পাশাপাশি, সিবিআইয়ের শিলিগুড়ি দফতরে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে হাজিরা দিতে হবে তাদের।
কলকাতা: নির্বাচন পরবর্তী হিংসার মামলায় আদালতে ধাক্কা খেল সিবিআই। দিনহাটার বিজেপি নেতা খুনে পাঁচ অভিযুক্তের জামিন আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দিনহাটার বিজেপি নেতা শ্রীধর দাসকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল মোট ১১ জন অভিযুক্তকে। এদের প্রত্যেকেই শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে সেই ১১ জনের মধ্য়ে শর্তসাপেক্ষ জামিন পেলেন পাঁচ অভিযুক্ত। মূলত, খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগ না থাকার কারণেই শর্তসাপেক্ষ জামিন দেওয়া হয়েছে তাদের, রায় আদালতের।
তৃণমূল নেতা রতন রায় সরকার, প্রণব বরকাইত, নকুল রায় সরকার, প্রীতম রায় সরকার ও সাহানূর হোসেনকে ২০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেওয়া হয়েছে আদালত তরফে। এদিন বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাঁচ অভিযুক্তের কেউই কোচবিহার জেলায় ঢুকতে পারবেন না। পাশাপাশি, সিবিআইয়ের শিলিগুড়ি দফতরে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে হাজিরা দিতে হবে তাদের।
তবে এই পাঁচ অভিযুক্ত জামিন পেলেও, বিজেপি নেতা খুনে মূল ছয় অভিযুক্ত তথা উত্তম কুমার বর্মন, লিটন শীল, লিটন ভৌমিক, বিশ্বজিৎ বর্মন, রবিউল হক ও রমযান আলীর জামিন মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি। অবশ্য, যারা জামিন পেলেন না, তাদের হয়ে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী অর্জুন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময় দিনহাটায় নৃশংসভাবে খুন হন স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্রীধর দাস। চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-সহ একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শ্রীধরে ছেলে। পরে রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অন্য মামলাগুলির সঙ্গেই সিবিআইয়ের হাতে গিয়ে পড়ে শ্রীধরের মামলাটিও।