Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

২ বছরের ভাইকে ঘিরে ধরে কামড় একদল কুকুরের, বাকশক্তি হারাল দাদা!

বাড়ির সামনে খেলছিল খুদে দুই ভাই। আচমকাই তাদের ঘিরে ধরল একদল কুকুর। কামড়াতে শুরু করে বছর দুইয়ের আদিত্য চৌধুরীকে। ভাইকে বাঁচাতে কুকুরগুলোকে প্রথমে তাড়ানোর চেষ্টা করে দাদা চন্দন। কিন্তু পারেনি।

২ বছরের ভাইকে ঘিরে ধরে কামড় একদল কুকুরের, বাকশক্তি হারাল দাদা!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2021 | 6:50 PM

মালদহ: বাড়ির সামনে খেলছিল খুদে দুই ভাই। আচমকাই তাদের ঘিরে ধরল একদল কুকুর। কামড়াতে শুরু করে বছর দুইয়ের আদিত্য চৌধুরীকে। ভাইকে বাঁচাতে কুকুরগুলোকে প্রথমে তাড়ানোর চেষ্টা করে দাদা চন্দন। কিন্তু পারেনি। চোখের সামনে ভাইকে এভাবে দেখে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে পাঁচ বছরের দাদাও। রবিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার বিনপাড়া এলাকায়।

কুকুরের কামড়ে আহত ওই শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে শিশুটির দাদাও চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনায় কার্যত হতবাক পরিবার।

জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ইংরেজবাজার থানার মাদানি বিনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আক্রান্ত ছোট্ট আদিত্য (২) ও দাদা চন্দন চৌধুরী (৫) বাড়ির পাশে খেলছিল। সেই সময় পাঁচটি কুকুর হঠাৎ করে তাদের আক্রমণ করে। আদিত্যকে ঘিরে ধরে। কামড়ে গায়ের মাংস খুবলে নেয়। প্রথমে দাদা কুকুরগুলিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি। সে ছুটে যায় বাবার কাছে। পরিবারের অন্যরা ছুটে এসে কোনওক্রমে কুকুরগুলিকে তাড়ায়। কিন্তু ততক্ষনে শিশুটির শরীরের নানা জায়গায় খুবলে নিয়েছে কুকুর। রক্তাক্ত অবস্থাব ভাইকে এভাবে দেখে মানসিক ধাক্কা পায় দাদা। সে আর কথা বলতে পারছে না বলে পরিবার সূত্রে খবর।

প্রথমে ছোট্ট আদিত্যকে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: মুচলেকা পড়ে তৃণমূলে যোগদান বিজেপি কর্মীর, তবেই মিলল দোকান খোলার অনুমতি!

জানা গিয়েছে, শিশুটির শরীরের পাঁচটা জায়গায় মাংস খুবলে নিয়েছে কুকুর। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে ভাইকে এভাবে দেখে বাকশক্তি চলে গিয়েছে দাদা চন্দনের। দুই শিশুর চিকিৎসা চলছে।