Malda: মরে শান্তি নেই! ‘তোলা’ দিতে হচ্ছে শ্মশানেও, সামনে এল ভয়ঙ্কর অভিযোগ
Malda: রীতিমতো তোলা দিতে হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কখনও দ্বিগুণ, কখনও বা তারও বেশি টাকা দিতে হয়। এই নিয়ে মালদহ জেলা পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা পরিষদেরই অন্যতম সদস্য।

মালদহ: মৃত্যুতেও দিতে হচ্ছে তোলা! নাহলে ফেলে রাখা হচ্ছে মৃতদেহ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৎকার করা হচ্ছে না। মহাশ্মশানে চলছে মহা দালাল চক্র! সামনে এল ভয়ঙ্কর অভিযোগ। দাহ করার নামে তোলাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মালদহের সদুল্লাপুর মহাশ্মশানের ছবি এমনটাই। অভিযোগ, সেখানে চুল্লিতে দাহ করতে হলে তৃণমূল পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদের নির্ধারিত যা টাকা, তার থেকে বেশি দিতে হয়। রীতিমতো তোলা দিতে হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কখনও দ্বিগুণ, কখনও বা তারও বেশি টাকা দিতে হয়। এই নিয়ে মালদহ জেলা পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা পরিষদেরই অন্যতম সদস্য তথা কংগ্রেস নেতা শায়েম চৌধুরী। অভিযোগ জানানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছেও। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মালদহ জেলাপরিষদই মহাশ্মশানের দেখাশোনার দায়িত্বে। নিয়ম হল, কাউন্টার থেকে ৯৯৯ টাকার টিকিট কেটে দেহ সৎকার করাতে হয়। কিন্তু সেই টাকার বাইরে জোর করে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অন্তত ৭০০-৮০০ বা হাজার টাকাও বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ, নাহলে দেহ সৎকার না করে ফেলে রাখা হচ্ছে।
আত্মীয়ের মৃতদেহ নিয়ে আসা এক ব্য়ক্তি জানান, তাঁকে ৯৯৯ টাকার রসিদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু নেওয়া হয়েছে ১৬০০ টাকা। কারও কারও কাছ থেকে ২-৩ হাজার টাকাও নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে তৃণমূল শ্মশান কমিটি দাবি করছে, বাড়তি টাকা দেওয়ার জন্য কারও উপর কোনও চাপ দেওয়া হয় না। কর্মীদের কেউ কেউ খুশি মনে কিছু টাকা দেন। তৃণমূল নেতা তথা শ্মশান কমিটির সম্পাদক প্রদীপ মণ্ডল- বলেন, ‘কেউ কেউ খুশি মনে দেন কর্মীদের। এই টাকা চাওয়া হয় না।’ কিন্তু, কর্মীরা তো বেতন পান, তাহলে তাঁদের কেন আলাদাভাবে টাকা দেওয়া হবে?
শ্মশানের কর্মীদের একাংশের দাবি, তাঁরা বারবার বেতন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন, কিন্তু বেতন বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে এই টাকা। উল্লেখ্য, গঙ্গার লাগোয়া এই শ্মশান কয়েক’শ বছরের পুরনো। এই শ্মশানে শুধু এই জেলাই নয়, আশপাশের বেশ কিছু জেলা থেকেই মানুষ যান মৃতদেহ দাহ করতে। রোজ অন্তত ৪০ থেকে ৫০টি দেহ দাহ করা হয়।





