AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: মাংস রান্না করতে গিয়ে কী কাণ্ড! কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথার উপর থেকে ছাদ সরে গেল মতিউল-ওলেমাদের

Malda: মাংস রান্না করার সময় আগুনের ফুলকি উড়ছিল। সেই আগুনের ফুলকি থেকেই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। মুহূর্তের মধ্য়ে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বিধ্বংসী আগুনে পুকে খাঁক হয়ে যায় আশপাশের একাধিক বাড়ি। অন্তত ১৫টি ঘর কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Malda: মাংস রান্না করতে গিয়ে কী কাণ্ড! কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথার উপর থেকে ছাদ সরে গেল মতিউল-ওলেমাদের
সব শেষ মতিউল-ওলেমাদেরImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 03, 2024 | 10:10 PM
Share

মালদা: পাটকাঠির জ্বালানি দিয়ে মাংস রান্না চলছিল। আর তা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। মাংস রান্না করার সময় আগুনের ফুলকি উড়ছিল। সেই আগুনের ফুলকি থেকেই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। মুহূর্তের মধ্য়ে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বিধ্বংসী আগুনে পুকে খাঁক হয়ে যায় আশপাশের একাধিক বাড়ি। অন্তত ১৫টি ঘর কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক এলাকার গোপালপুরে। শেষ পর্যন্ত দমকল বাহিনীর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব হয়। গোপালপুরের এই অগ্নিকাণ্ডে জখম হয়েছেন দু’জন। তাঁরা বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা যাচ্ছে, অগ্নিদগ্ধ মতিউল শেখের ঘরে নগদ প্রায় চার লাখ টাকা ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বাঁচানোর চেষ্টায় আগুনে ঝাঁপ দেন তিনি। কিন্তু টাকা বাঁচাতে পারেননি, বরং নিজেই আগুনে ঝলসে গিয়েছেন। মতিউলের ছেলেও আহত হয়েছেন। মতিউল ও তাঁর প্রতিবেশীদের মিলিয়ে মোট ৬টি পরিবারের ঘরে ৬ লাখ টাকা নগদ রাখা ছিল। একজনের ঘরে কিছু সোনা-দানাও রাখা ছিল। কিছুই অক্ষত অবস্থায় বের করতে পারেননি তাঁরা। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বিধ্বংসী আগুনে।

আগুনে ঝলসে যাওয়া মতিউলের স্ত্রী ওলেমা বিবি জানাচ্ছেন, ‘ঘরে রাখা নগদ চার লক্ষ টাকা বাঁচাতে গিয়ে আমার স্বামী ও ছেলে ঝলসে গেছে। কিন্তু কিছু বাচাতে পারেনি। আমার দু’ভরি সোনার গলার মালা, কানের দুল, বাড়ির জিনিসপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিমুল শেখের বাড়িও। তিনিও সদস্য বোনের বিয়ে দিয়েছেন। বাইক কেনার জন্য ঘরে দেড় লাখ টাকা নগদ রেখে দিয়েছিলেন। অবসন্ন গলায় আলিমুল বলছেন, ‘সেটাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছুই বাঁচাতে পারেনি।’

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে শুক্রবার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন গোপালপুরের অঞ্চল প্রধান আঞ্জুনারা খাতুন। তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বাড়ির টাকা পয়সা জিনিসপত্র কিছুই বের করা যায়নি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সরকারিভাবে পরিবারের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায়, তার জন্য দরবার করব।’