Malda: ‘চেয়ারে বসে মানুষের জন্য কাজ করেন না’, শাসক দলের নেতার নিশানায় মন্ত্রী
Malda: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। হরিশ্চন্দ্রপুর কেন্দ্র থেকে কে টিকিট পাবেন, তা নিয়ে বুলবুল খান এবং তাজমুল হোসেনের লড়াই এখন তীব্র। 'খেলা হবে'-র খেলা চলছে তৃণমূলের অন্দরেই। পরপর দু'দিন হরিশ্চন্দ্রপুরের একই মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীরা।

মালদহ: প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই রাজ্যের মন্ত্রীকে আক্রমণ শাসক নেতার। মন্ত্রী তাজমুল হোসেনকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি। বললেন, “নেতা হয়েছেন। মন্ত্রী হয়েছেন। সরকারি বড় বড় চেয়ার নিয়ে বসে রয়েছেন। অথচ মানুষের জন্যে কাজ করেন না।” শুধু তাই নয়, এই হরিশ্চন্দ্রপুর কেন্দ্র থেকে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তাজমুল হোসেনের বদলে মালদা জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের হয়ে একরকম প্রচারও শুরু করে দিলেন তিনি।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। হরিশ্চন্দ্রপুর কেন্দ্র থেকে কে টিকিট পাবেন, তা নিয়ে বুলবুল খান এবং তাজমুল হোসেনের লড়াই এখন তীব্র। ‘খেলা হবে’-র খেলা চলছে তৃণমূলের অন্দরেই। পরপর দু’দিন হরিশ্চন্দ্রপুরের একই মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীরা। একই দিনে দুটি টুর্নামেন্টরই অনুমোদন দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও মনোমালিন্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পুলিশ দুই দিন নির্ধারণ করে অনুমতি দেয়। তিন ও পাঁচ জুন। তাজমুল হোসেনের অনুগামীদের ৩ জুন। এবং বুলবুল খানের অনুগামীদের ৫ জুন। যদিও শেষ মুহূর্তে অন্য নেতাদের উপস্থিতিতে খেলা হলেও, পরিস্থিতি বুঝে ৩ জুন খেলার মাঠে উপস্থিত হননি তাজমুল হোসেন। তবে বুলবুল খানের নেতৃত্বে গতকাল মহা সমারোহে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়।
গতকাল ওই ক্রিকেট টুর্নামেন্টেই হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি সরাসরি তাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। মন্ত্রী ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনও কাজ করেন না বলে আক্রমণ শানালেন। উপস্থিত তৃণমূল ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমানও একরকম বুলবুল খানের হয়েই সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, বুলবুল খান টিকিট পেলে তাঁর হয়েই মাঠে নামবেন তাঁরা।
দলের নেতারা তাঁর হয়ে সওয়াল করলেও সাবধানী বুলবুল খান। তাঁর হয়ে নেতাদের সওয়াল করা নিয়ে কিছু বললেন না। শুধু বললেন, “খেলাধূলা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করা মূর্খামি হবে।” এদিকে, টেলিফোনে তাজমুল হোসেন বলেন, “আমি কী কাজ করি, সেটা মানুষই বলবে। আমি কী বলব? আমার এত গর্ব করার দরকার নেই। আমি একমাত্র উপরওয়ালাকে বিশ্বাস করি। কেউ কিছু করতে পারবে না।”
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য কিষাণ কেডিয়া বলেন, “লোকসভায় ওরা এখানে ভোট পায়নি। পঞ্চায়েতে ভোট পায়নি। এখন বিধানসভার ভোট হলে ভরাডুবি হবে তৃণমূলের। এখন তৃণমূলের খেলা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। কারা টিকিট পাবে, তা নিয়ে খেলা হচ্ছে। ছাব্বিশের নির্বাচনে মানুষ বুঝিয়ে দেবে, কাকে বলে ভোট। কাকে ভোট দিলে পশ্চিমবঙ্গ সুরক্ষিত থাকবে, তা মানুষ বুঝতে পেরেছে।”

