Malda: দেওয়াল খুঁড়ে বেরল দেহ, নাম জড়াল হাইস্কুলের শিক্ষকের…সস্ত্রীক কী করেছেন তিনি?
Malda: পুখুরিয়া এলাকারই বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাপ ভিন রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার বা লেবার কন্ট্রাক্টর। এছাড়াও তাঁর অন্যান্য ব্যবসাও আছে। তাঁর ঠিকাদারি ও ব্যবসা সংক্রান্ত সব কাজের দেখাশোনা বা ম্যানেজারি করতেন ইংরেজবাজারের কৃষ্ণপল্লির বাপুজি কলোনির বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক রহমান নাদাপ এবং তাঁর স্ত্রী মৌমিতা হাসান।

রূপক সরকার: ২৫ লক্ষ টাকা সহ ঠিকাদারকে অপহরণ! অপহরণের পর খুন। তারপর প্রমাণ লোপাটে দেহ দেওয়ালে পুঁতে, ওপর দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় নাম উঠে এসেছে মালদহের হাইস্কুলের এক শিক্ষক ও স্ত্রীর। পুলিশের টানা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন শিক্ষকের স্ত্রী। জানা গিয়েছে, তাঁর বাবার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে। সেখানেই তাঁকে বাড়িতে পুঁতে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে। তপন থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরা চলছে স্বামীকেও। মালদহের পুখুরিয়া থানা এলাকার ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, পুখুরিয়া এলাকারই বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাপ ভিন রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার বা লেবার কন্ট্রাক্টর। এছাড়াও তাঁর অন্যান্য ব্যবসাও আছে। তাঁর ঠিকাদারি ও ব্যবসা সংক্রান্ত সব কাজের দেখাশোনা বা ম্যানেজারি করতেন ইংরেজবাজারের কৃষ্ণপল্লির বাপুজি কলোনির বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক রহমান নাদাপ এবং তাঁর স্ত্রী মৌমিতা হাসান। বিনিময়ে মাসোয়ারা নিতেন চল্লিশ হাজার টাকা। যদিও রহমান নাদাপ যদুপুর হাইস্কুলের শিক্ষক। শুধু মাসোয়ারাই নয়, মাঝে মাঝেই বড় অঙ্কের টাকা নিত ওই দম্পতি বলে অভিযোগ। এমনকি অভিযোগ, ব্যবসার স্বার্থে দেওয়া প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল ওই দম্পতির কাছে।
প্রথমে ইংরেজবাজার থানায় স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত সাদ্দাম নাদাপের স্ত্রী নাসরিন খাতুন। অভিযোগ, গত ২৩ মে সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি সাদ্দাম। ওই দম্পতি তাঁকে অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরে পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতার স্ত্রী। শুধু তাই নয়, নিজের স্বামীকে ফিরে পেতে দরবার করেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে। দরবার করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীর কাছেও।
অবশেষে পুলিশ স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীকে দফায় দফায় জেরা শুরু করে। স্ত্রী মৌমিতা হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরা চলছে স্কুল শিক্ষক রহমান নাদাপের।

